Friday, May 24, 2013

প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে আমার দেশ-এর বক্তব্য

আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নির্ভীক সাংবাদিক কারান্তরীণ মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে 'হেফাজতের সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের সম্পর্কের তদন্ত' শিরোনামে ২৪ মে বাংলাদেশ প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্ঠায় ছবিসহ যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন। তবে তা আপনার পত্রিকার ভাষ্যমত এ বছরের মার্চে নয়, গত বছরের (২০১২) ২৯ জুন। তা কোনো গোপন সফরও ছিল না। সেই সফরের ছবি ও বিস্তারিত খবর পর দিন ফলাও করে আমার দেশ, নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন জাতীয় ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, গত মার্চ মাসে মাহমুদুর রহমান আমার দেশ কার্যালয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে ছিলেন। স্কাইপ সংলাপ ছাপার পর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্ট ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হলে তিনি নিরাপত্তার কারণে আমার দেশ কার্যালয়ে অবস্থান করেন। গ্রেফতার হওয়ার দিন (১১ এপ্রিল, ২০১৩) পর্যন্ত টানা চার মাস তিনি আমার দেশ কার্যালয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করেন। এর মধ্যে মাত্র এক দিন কয়েক ঘণ্টার জন্য মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। তার বাইরে তিনি চার মাসে আর দ্বিতীয়বার অফিস থেকে বের হননি। তাই মার্চে চট্টগ্রাম তথা হাটহাজারী যাওয়ার গল্প অবান্তর। তৃতীয়ত, আপনার পত্রিকায় 'গ্রেফতারের আগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বের হচ্ছেন মাহমুদুর রহমান' বলে যেভাবে ছবির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, তাতে যে কোনো পাঠকেরই মনে হতে পারে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রেফতারের পরে যে কোনো ব্যক্তির পক্ষে হাটহাজারী যাওয়া সম্ভব নয়। মাহমুদুর রহমান হাটহাজারীতে অন্য একটি আলোচনা সভায় যোগদান শেষে আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে শুভেচ্ছা সাক্ষাৎ করতেই তার পরিচালিত ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসায় অত্যন্ত স্বল্পসময়ের জন্য গিয়েছিলেন। চতুর্থত, সম্পাদক মাহমুদুর রহমান যখন হাটহাজারী গিয়েছিলেন, তখন শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ বা শাহবাগিদের আত্দপ্রকাশ ঘটেনি। মহান আল্লাহ, মহানবী (সা.) ও ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগি ব্লগারদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাও যায়নি। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির মধ্যে একটি ছিল ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারচক্রের বিচার। গত ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে শাহবাগে ব্লগারচক্রের সমাবেশ শুরু হয়। এই ব্লগারচক্রের একজন রাজীব মারা যাওয়ার পর তার লাশ নিয়ে শাহবাগে জানাজা ও তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন টকশোসহ সভা-সেমিনারে নানা আলোচনার প্রেক্ষাপটে রাজীবসহ ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারচক্রের ব্যাপারে প্রথমে দৈনিক ইনকিলাবে খবর ছাপা হয়। পরে অনুসন্ধান চালিয়ে আমার দেশ তাদের তৎপরতা নিয়ে খবর ছাপে। আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে আগেই হাইকোর্টের রায়ে ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সুতরাং গত বছরের জুনে হাটহাজারী মাদ্রাসায় সেমিনারে যোগ দিতে মাহমুদুর রহমানের সফরের সঙ্গে পরবর্তীতে সৃষ্ট ঘটনার মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংযোগ ঘটানো অবান্তর। পঞ্চমত, গত ৬ এপ্রিল মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তার নিজ নামে আমার দেশ-এ লেখা মন্তব্য প্রতিবেদনে (প্রকৃত গণজাগরণ এ রকমই) হেফাজতের কর্মসূচির প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট ও সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। ধর্মপরায়ণ যে কোনো মানুষ তার ধর্মের প্রতি বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবেন, এটাই স্বাভাবিক। ষষ্ঠত, ১১ মার্চ সন্ধ্যায় আমার দেশ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হেফাজতের সঙ্গে একটি বৈঠক নিয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে, তা একটি ব্লগে দেওয়া অসত্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। মাহমুদুর রহমান মুক্ত থাকাবস্থায় 'আমাদের অর্থনীতি' পত্রিকায় ব্লগের বরাতে এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর তার ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বক্তব্য দিয়েছিলেন। হানিফের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমান উকিল নোটিস পাঠালেও তিনি তার কোনো জবাব দেননি। বক্তৃতায় বলেছেন, ব্লগের খবরের ওপর ভিত্তি করে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের সূত্রে তিনি এটা বলেছিলেন। পত্রিকায় প্রতিবাদ পাঠালেও তারও প্রতিবাদ ছাপিয়ে বলেছিল, ব্লগের খবরের ওপর ভিত্তি করে তা তারা ছাপিয়েছিল। তারা নিজেরাও এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য : আদালতে দেওয়া হেফাজত নেতা বাবুনগরীর জবানবন্দি ও পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।

Source:
http://www.bd-pratidin.com/index.php?view=details&type=gold&pub_no=1101&cat_id=1&menu_id=1&news_type_id=1&index=11

No comments:

Post a Comment