Wednesday, May 22, 2013

মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমার বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।



স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল এমএ তাহেরের মৃত্যুদ-ের অনেক আগেই জিয়াউর রহমান তাঁকে মৃত্যুদ- প্রদানে মনস্থির করেছেন বলে মওদুদ আহমদের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। মওদুদ আহমদ বলেছেন, আমার বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। আমার বইয়ে এ জাতীয় কোন বক্তব্য নেই। বুধবার দুপুরে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল’রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান এই বিএনপি নেতা।
এ সময় সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, গত ২০ মে ২০১৩ হাইকোর্ট বিভাগ কর্ণেল তাহেরের বিচারের ওপর যে রায় দিয়েছে সেখানে আমার গবেষণামূলক তথ্যভিত্তিক লেখা ‘ডেমোক্রেসি এ্যান্ড দ্যা চ্যালেঞ্জ অব ডেভেলপমেন্ট : এ স্টাডি অব পলিটিক্স এ্যান্ড মিলিটারি ইন্টারভেনশন্স ইন বাংলাদেশ’ বইটি থেকে যে উদ্ধৃতি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। তিনি বলেন, আমার বইয়ের কোথাও বলা হয়নি, যে এ বিচারের ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনেক আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তান ফেরৎ সামরিক অফিসারদের তুষ্ট করতে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেয়ার জন্য মনস্থির করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, কর্নেল তাহেরের বিচারের বিষয়ে আমার বইয়ে লেখা প্রাসঙ্গিক অংশ ছিল ‘কর্নেল তাহেরকে সাজা দেয়ার প্রশ্নে পাকিস্তান প্রত্যাগত অফিসাররা সব সময় তাঁর মৃত্যুদ- চেয়েছে। এ ব্যাপারে জিয়া ৪৬ জন সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করেন। সকলে একবাক্যে তাহেরের জন্য চূড়ান্ত শাস্তির পক্ষে মতামত দেন।’
তিনি বলেন, আমার বইয়ে যা লিখেছি, তা ঠিকই লিখেছি। ‘যেহেতু বইটি ইংরেজীতে লেখা হয়েছিল তাই ইংরেজী প্রাসঙ্গিক অংশ ছিল-’When it came to the sentencing of Taher, the repatriated officers wanted him hanged- out of 46 senior army officers summoned by Zia to discuss the issue, all were in favour of this ultimate and final form of punishment.Õঢ়ঁহরংযসবহঃ.’ মওদুদ আহমদ আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কর্নেল আবু তাহেরের আত্মত্যাগ ও সাহসী ভূমিকার জন্য তিনি সকল প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু তার বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে আজ থেকে ৪০ বছর আগে। তখনকার রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সামরিক প্রেক্ষাপট আজকের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। এ বিচারকার্যকে তখনকার সময়ের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা দরকার।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে প্রকাশিত ১৯৮ পৃষ্ঠার রায়ের অভিমতে (১৮৮ নম্বর পৃষ্ঠা) বলা হয়, ‘১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই তথাকথিত ট্রাইব্যুনালের রায়ের আগেই জেনারেল জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদ- দিতে মনস্থির করেন। পাকিস্তান ফেরত সামরিক অফিসারদের তুষ্ট করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’ ওই রায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বই এবং আদালতে দেয়া তাঁর বক্তব্য, মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফসুল্্জ-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। রায়ের অভিমতে বলা হয়, ‘জেনারেল জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি জেনারেল জিয়াউর রহমানের মুখ থেকে কথাগুলো শুনেছেন বলে তাঁর বইয়ে দাবি করেছেন। তাই তাঁকে অবিশ্বাস করার কোন কারণ থাকতে পারে না।’

Source: www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2013-05-23&ni=136350

No comments:

Post a Comment