বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের
নিযুক্ত দুজন স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিচার স্বচ্ছ হচ্ছে না
এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়াও অনুসরণ করা হচ্ছে না। যুদ্ধাপরাধ
ট্রাইবু্যুনালের বিচারক ও সরকারি আইনজীবীদের নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন
উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। আপিল আদালতকে ট্রাইবু্যুনালের
‘ত্রুটিগুলো’ সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গতকাল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিসের এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করা হয়েছে। অভিযুক্তরা যাতে স্বচ্ছ বিচার পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সম্প্রতি জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ড ও দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আযাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তার অনুপস্থিতিতে। এক্ষেত্রে আইনের যথাযথ ও স্বচ্ছ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হয়নি। আরও অনেকের রায় প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। বিচারবহির্ভূত, সংক্ষিপ্ত ও স্বেচ্ছাচারি বিচার সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞ অথবা স্পেশাল র্যাপোর্টার ক্রিস্টফ হেন্স এবং বিচারক ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টার গেব্রিয়েলা কাউল বলেন, ‘এই বিচারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এবং সম্ভাব্য মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কারণে এটা নিশ্চিত করা ট্রাইব্যুনালের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আসামিরা যেন স্বচ্ছ বিচার পায়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল অতীতে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের বিচার করছে। কাজেই স্বচ্ছ বিচার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের প্রতি ট্রাইব্যুনালকে শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।
আযাদের অনুপস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় স্বচ্ছ বিচার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন হেন্স। তিনি বলেন, ‘যেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, সেখানে স্বচ্ছ বিচার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ কঠোরভাবে পালন করা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা দরকার। কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে বিচার স্বচ্ছ হচ্ছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।’
হেন্স বলেন, স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করার জন্য যেন অন্তত ‘ইন্টারন্যাশনাল কোভন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস’ সংকান্ত বিধান নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশের একটি।
গেব্রিয়েলা কাউল বলেন, বিচারক ও সরকারি আইনজীবীদের নিরপেক্ষতা ও নির্বাহী বিভাগ থেকে তারা কতটা স্বাধীন তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তাতে তিনি উদ্বিগ্ন। সাক্ষী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, তারা বৈরি পরিবেশ, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির মধ্যে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে স্বাধীনভাবে পরামর্শ করতে না পারলে, তাদের পক্ষের সাক্ষীদের উপস্থিত করতে পর্যাপ্ত সময় না পেলে এবং সাক্ষীরা অভিযুক্তদের পক্ষে কথা বলতে না পারলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয়েছে তা বলা যায় না। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আসামি ও বাদীদের প্রতি সমান আচরণ করতে হবে।
ওই বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাইবু্যুনালের বিচারে যেসব ত্রুটি ছিল তা যেন আপিল বিভাগ সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখে। স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ হলো আপিল প্রকিয়াও হতে হবে বিশ্বাসযোগ্য; বিশেষ করে যেখানে মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বিশেষজ্ঞ অথবা স্পেশাল র্যাপোর্টাররা জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক নিযুক্ত। তারা কোনো একটি দেশের অথবা বিশেষ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিয়ে থাকেন। এই পদগুলো অবৈতনিক। তারা জাতিসংঘের স্টাফ নন এবং কোনো বেতনও নেন না।
গতকাল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিসের এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করা হয়েছে। অভিযুক্তরা যাতে স্বচ্ছ বিচার পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সম্প্রতি জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ড ও দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আযাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তার অনুপস্থিতিতে। এক্ষেত্রে আইনের যথাযথ ও স্বচ্ছ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হয়নি। আরও অনেকের রায় প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। বিচারবহির্ভূত, সংক্ষিপ্ত ও স্বেচ্ছাচারি বিচার সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্বাধীন বিশেষজ্ঞ অথবা স্পেশাল র্যাপোর্টার ক্রিস্টফ হেন্স এবং বিচারক ও আইনজীবীদের স্বাধীনতা বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টার গেব্রিয়েলা কাউল বলেন, ‘এই বিচারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এবং সম্ভাব্য মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কারণে এটা নিশ্চিত করা ট্রাইব্যুনালের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আসামিরা যেন স্বচ্ছ বিচার পায়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল অতীতে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের বিচার করছে। কাজেই স্বচ্ছ বিচার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের প্রতি ট্রাইব্যুনালকে শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।
আযাদের অনুপস্থিতিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় স্বচ্ছ বিচার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন হেন্স। তিনি বলেন, ‘যেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, সেখানে স্বচ্ছ বিচার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ কঠোরভাবে পালন করা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা দরকার। কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে বিচার স্বচ্ছ হচ্ছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।’
হেন্স বলেন, স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করার জন্য যেন অন্তত ‘ইন্টারন্যাশনাল কোভন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস’ সংকান্ত বিধান নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশের একটি।
গেব্রিয়েলা কাউল বলেন, বিচারক ও সরকারি আইনজীবীদের নিরপেক্ষতা ও নির্বাহী বিভাগ থেকে তারা কতটা স্বাধীন তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তাতে তিনি উদ্বিগ্ন। সাক্ষী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, তারা বৈরি পরিবেশ, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানির মধ্যে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে স্বাধীনভাবে পরামর্শ করতে না পারলে, তাদের পক্ষের সাক্ষীদের উপস্থিত করতে পর্যাপ্ত সময় না পেলে এবং সাক্ষীরা অভিযুক্তদের পক্ষে কথা বলতে না পারলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয়েছে তা বলা যায় না। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আসামি ও বাদীদের প্রতি সমান আচরণ করতে হবে।
ওই বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাইবু্যুনালের বিচারে যেসব ত্রুটি ছিল তা যেন আপিল বিভাগ সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখে। স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ হলো আপিল প্রকিয়াও হতে হবে বিশ্বাসযোগ্য; বিশেষ করে যেখানে মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বিশেষজ্ঞ অথবা স্পেশাল র্যাপোর্টাররা জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক নিযুক্ত। তারা কোনো একটি দেশের অথবা বিশেষ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিয়ে থাকেন। এই পদগুলো অবৈতনিক। তারা জাতিসংঘের স্টাফ নন এবং কোনো বেতনও নেন না।
No comments:
Post a Comment