কাতারে কীর্তিমান বাংলাদেশি
হাবিবুর রহমান
বাংলাদেশ
মানচিত্রের সর্বদক্ষিণের শেষ বিন্দুটি হচ্ছে শাহপরীর দ্বীপ। সম্রাট শাহ
সুজার ‘শাহ’ আর তাঁর স্ত্রী পরীবানুর ‘পরী’ মিলিয়ে নামকরণ হয়েছিল এই
দ্বীপের। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ছোট একটি ওয়ার্ড।
সমুদ্র উপকূলের ছোট্ট এই জনপদের এক সাধারণ পরিবারে জন্মেছিলেন হাবিবুর
রহমান। কর্মগুণে তিনি হয়ে উঠেছেন অসাধারণ। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ভূমিকা রাখছেন
মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ ধনী দেশ কাতারের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের
গবেষণা-কর্মে। ৬৩ বছর বয়সী ডক্টর হাবিবুর রহমান কাতারের আমিরের সচিবালয়ের
একমাত্র ইতিহাস বিশেষজ্ঞ (হিস্টরিক্যাল রিসার্চ এক্সপার্ট) হিসেবে ১৯৮২ সাল
থেকে উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
কাতারের জনগণ আগে ৩ সেপ্টেম্বর ‘স্বাধীনতা দিবস’ উদ্যাপন করতেন। হাবিবুর রহমান কাতারের বহু বছরের ইতিহাস গবেষণা করে বের করলেন, ১৮ ডিসেম্বর হলো কাতারের ‘জাতীয় দিবস’। ২০০৬ সালের মে মাসে তিনি কাতার সরকারের কাছে তাঁর গবেষণালব্ধ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেন। কাতার সরকার ৩ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা দিবস বাতিল করে ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস নির্ধারণ করে। ২০০৭ সাল থেকে কাতারে ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়। স্বাধীনতা দিবস এখন আর উদ্যাপিত হয় না। এ জন্য কাতারের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের হাবিবুরকে নিয়ে গর্ববোধ করেন।
১৯৯৭ সালে দ্য মেকিং অব দ্য গালফ ওয়ার বইয়ের জন্য হাবিবুর রহমান আমেরিকা থেকে ‘লিটারারি অ্যাওয়ার্ড’ পান। তাঁর লেখা আরও তিনটি উল্লেখযোগ্য বই হলো: এ ব্রিটিশ ডিফেন্স প্রবলেম ইন দ্য মিডল ইস্ট, দি ইমারজেন্স অব কাতার এবং চেঞ্জিং ফেস অব কাতার।
শাহ পরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হাবিবুর রহমান ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। ১৯৭২-৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৬-৭৭ সালে কানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি পান।
১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি কাতারের আমিরে দেওয়ানের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান।
হাবিবুর রহমান টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৯ সালে তিনি ঢাকায় আমেরিকানভিত্তিক সর্ববৃহৎ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘নিউ হরাইজন’ প্রতিষ্ঠা করেন। গত ১২ বছরে এই প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ১৪ হাজার মানুষ কম্পিউটার-বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ২০০৭ সালে শাহ পরীর দ্বীপ এলাকায় তিনি তিনটি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র চালু করেছেন। এক হাজার ৮০০ নিরক্ষর ব্যক্তি এখানে সাক্ষর হয়েছেন।
কাতারে হাবিবুর রহমানের দিন কাটে খুবই ব্যস্ততায়। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে অফিসে গিয়ে প্রথমে এক কাপ কালো চা খাই। তারপর অনলাইনে প্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর খবরের ওপর চোখ বুলিয়ে নিই। যেহেতু সারা দিন কাজের মধ্যে থাকতে হয়, তাই সব পত্রিকা তেমন পড়া হয় না। প্রথম আলোতে টেকনাফের খবর বেশি থাকে। চলার পথে মুঠোফোনের অনলাইনে প্রথম আলোর দিনের ঘটনা এবং ঘটনা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনের ওপর পাঠকের মন্তব্যগুলো এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলি। তখন মনে হয়, আমিও বাংলাদেশে বসে আছি। প্রথম আলোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারাক্ষণ সঙ্গে রাখি।’
হাবিবুর রহমানের বাবা মরহুম হাজি নবী হোসাইন ছিলেন দানশীল লোক। মা মরহুম জমিলা খাতুনও উদার মনের মানুষ ছিলেন। পাঁচ ভাই, তিন বোনের মধ্যে হাবিবুর রহমান তৃতীয়। তাঁর স্ত্রী কাতারের ব্রিটিশ স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে ও এক মেয়ে কাতারের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। দুই মেয়ে সেখানেই লেখাপড়া করছে।
কাতারের জনগণ আগে ৩ সেপ্টেম্বর ‘স্বাধীনতা দিবস’ উদ্যাপন করতেন। হাবিবুর রহমান কাতারের বহু বছরের ইতিহাস গবেষণা করে বের করলেন, ১৮ ডিসেম্বর হলো কাতারের ‘জাতীয় দিবস’। ২০০৬ সালের মে মাসে তিনি কাতার সরকারের কাছে তাঁর গবেষণালব্ধ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেন। কাতার সরকার ৩ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা দিবস বাতিল করে ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস নির্ধারণ করে। ২০০৭ সাল থেকে কাতারে ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়। স্বাধীনতা দিবস এখন আর উদ্যাপিত হয় না। এ জন্য কাতারের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের হাবিবুরকে নিয়ে গর্ববোধ করেন।
১৯৯৭ সালে দ্য মেকিং অব দ্য গালফ ওয়ার বইয়ের জন্য হাবিবুর রহমান আমেরিকা থেকে ‘লিটারারি অ্যাওয়ার্ড’ পান। তাঁর লেখা আরও তিনটি উল্লেখযোগ্য বই হলো: এ ব্রিটিশ ডিফেন্স প্রবলেম ইন দ্য মিডল ইস্ট, দি ইমারজেন্স অব কাতার এবং চেঞ্জিং ফেস অব কাতার।
শাহ পরীর দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হাবিবুর রহমান ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। ১৯৭২-৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৬-৭৭ সালে কানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি পান।
১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি কাতারের আমিরে দেওয়ানের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান।
হাবিবুর রহমান টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৯ সালে তিনি ঢাকায় আমেরিকানভিত্তিক সর্ববৃহৎ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘নিউ হরাইজন’ প্রতিষ্ঠা করেন। গত ১২ বছরে এই প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ১৪ হাজার মানুষ কম্পিউটার-বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ২০০৭ সালে শাহ পরীর দ্বীপ এলাকায় তিনি তিনটি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র চালু করেছেন। এক হাজার ৮০০ নিরক্ষর ব্যক্তি এখানে সাক্ষর হয়েছেন।
কাতারে হাবিবুর রহমানের দিন কাটে খুবই ব্যস্ততায়। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে অফিসে গিয়ে প্রথমে এক কাপ কালো চা খাই। তারপর অনলাইনে প্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর খবরের ওপর চোখ বুলিয়ে নিই। যেহেতু সারা দিন কাজের মধ্যে থাকতে হয়, তাই সব পত্রিকা তেমন পড়া হয় না। প্রথম আলোতে টেকনাফের খবর বেশি থাকে। চলার পথে মুঠোফোনের অনলাইনে প্রথম আলোর দিনের ঘটনা এবং ঘটনা নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনের ওপর পাঠকের মন্তব্যগুলো এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলি। তখন মনে হয়, আমিও বাংলাদেশে বসে আছি। প্রথম আলোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে সারাক্ষণ সঙ্গে রাখি।’
হাবিবুর রহমানের বাবা মরহুম হাজি নবী হোসাইন ছিলেন দানশীল লোক। মা মরহুম জমিলা খাতুনও উদার মনের মানুষ ছিলেন। পাঁচ ভাই, তিন বোনের মধ্যে হাবিবুর রহমান তৃতীয়। তাঁর স্ত্রী কাতারের ব্রিটিশ স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে ও এক মেয়ে কাতারের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। দুই মেয়ে সেখানেই লেখাপড়া করছে।
No comments:
Post a Comment