পাপাচারে ছেয়ে গেছে দেশ
মাওলানা মুহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দিক
শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে দেশ ও জাতির উন্নতি-অবনতি। পৃথিবীতে
সেই জাতি তত উন্নত যে জাতির শিক্ষা ও সংস্কৃতি যত উন্নত। সংস্কৃতি উন্নত না
হলে কোনো জাতি উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে পারে না। পৃথিবীতে যারাই উন্নতির
শিখরে আরোহণ করেছেন সংস্কৃতির বদৌলতেই করেছে। এখন কথা হলো সংস্কৃতি বলতে
আমরা কী বুঝি। সংস্কৃতি হলো কোনো জাতির চালচলন, কথাবার্তা, আচার-ব্যবহার,
ওঠাবসা, শিক্ষা-দীক্ষা, নীতি-নৈতিকতা। এক কথায় বাহ্যিক ও আত্মিক ধর্মীয়
মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ। যার প্রকাশ না ঘটলে কোনো জাতি এক দিকে যেমন উন্নতির
শিখরে যেতে পারে না, তেমনি টিকেও থাকতে পারবে না। বরং পৃথিবীতে তার
অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। সম্প্রতি উলঙ্গ সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের সমাজে
ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা দেশের সচেতন মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। যে ঘটনাগুলো
আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। আইয়ামে জাহেলিয়া যুগের সবচেয়ে
নিষ্ঠুর ও বর্বর ঘটনাগুলোর তালিকা তৈরি করলে এক নম্বরে যে অপরাধটি উঠে আসবে
তা হলো কন্যাসন্তানকে জীবিত করব দেয়া এবং সেটা ছিল পিতা কর্তৃক। সে সময়
কন্যাসন্তান জন্ম নিলে পিতা লজ্জা এবং অপমানবোধ করত। পিতার সামাজিক মর্যাদা
কমে যেত ভেবে তারা কন্যাসন্তানকে জীবিত মেরে ফেলত। তা ছাড়া মেয়েদের তো
সে সমাজে মানুষ হিসেবে গণ্য করত না বরং ভোগাসামগ্রী মনে করত। ফলে তাদের
জন্ম নেয়া ছিল মহাঅপরাধ। সে জন্য পিতা তাদের মেরে ফেলত। সে সমাজে মা
সন্তানকে মেরে ফেলেছে এমন তথ্য ইতিহাসে পাওয়া খুবই কঠিন।কিন্তু আজ। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ এবং নৈতিকতা কোথায় পৌঁছলে আপন মা তার গর্ভজাত সন্তানকে মেরে ফেলতে পারে। কয়েক দিন আগে মা তার দু’টি শিশু সন্তানকে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলে। যে সংবাদটি জাতীয় দৈনিক পত্রপত্রিকায় ব্যাপক প্রচার হয় এবং লেখালেখি হয়। গত ১ ডিসেম্বর ২০১০ বিভিন্ন পত্রিকায় ব্যাপক প্রকাশিত আরেকটি ঘটনা। ঢাকার কদমতলীর রায়েরবাগ মেরাজনগরে তানভির হাসান শোভনের (২৪) হাতে মা নূরজাহান (৪৫) খুন হন। আবার গত ১৮ এপ্রিল দৈনিক আমাদের সময়সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় দাফনের কয়েক ঘণ্টা এবং করব খুঁড়ে লাশে আগুন। অভিযুক্ত মাদকাসক্ত ছেলে শফিক শাহ গ্রেফতার। ২৬ অক্টোবর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ভাতিজার হাতে চাচা খুন। মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় গত ২৫ মার্চ খুন হন সাদিকুর রহমান ও রোমানা নার্গিস নামের স্বামী-স্ত্রী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং খুনখারাবি “াধকল্পে যে পুলিশ সেই পুলিশের ৫১৫ জন নিহত দেড় যুগে। এমন কোনো দিন, সময়-মুহূর্ত পাওয়া খুবই কঠিন যখন খুন না হয়।
রাজনৈতিক কারণে খুনখারাবি তো অহরহ ঘটছে। এইতো বিশ্বজিতের হত্যাকান্ড কথায় ধরি না কেন, কী বীভৎস ও নারকীয়ভাবে প্রকাশ্যে তাকে হত্যা করা হলো। ২০১২ সাল তো ছিল খুনের বছর। ৬ জানুয়ারী ২০১৩ তারিখের নয়া দিগন্তে ‘প্রতি ঘণ্টায় একটি খুন’ শিরোনামের খবরে সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (এমআরটি) এক জরিপের উল্লেখ করে লিখেছে, ‘গত চার বছরে গড়ে প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন খুন হয়েছেন। মহজোট সরকারের চার বছরে মোট খুনের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫৮৯ জন। এর মধ্যে ২০১২ সালে খুনের ঘটনা ছিল আগের তিন বছরের চেয়ে বেশি। ২০১২ সালে চার হাজার ৪১২ জন খুন হয়েছেন। এ ছাড়া চার বছরে রাজনৈতিক কারণে খুন হয়েছন ৭৯০ জন।’
কুরআন মজিদে এরশাদ হয়েছে, ‘পিতা-মাতার সাথে এমন ব্যবহার কোরো না যে ব্যবহারে উহ্ শব্দ উচ্চারণ করে।’ (সূরা বনি ইসরাইল)। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ যেই পিতা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করে সন্তানের লালন-পালন করে, সেই পিতা-মাতা যখন সন্তান দ্বারা খুন হন, এই পিতা-মাতা যখন নিজ সন্তানকে, বাবা মাকে, মা বাবাকে, ভাই ভাইকে, বোন ভাইকে, ভাই বোনকে, স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে, ভাগিনা মামাকে, মামা ভাগিনাকে, ভাতিজা চাচাকে, চাচা ভাতিজাকে, বন্ধু আরেক বন্ধুকে হত্যা করে তখন কেয়ামত সন্নিকটে ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। আল্লাহ পাক বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে একজন মানুষকে হত্যা করল সে যেন দুনিয়ার সব মানুষকে হত্যা করল। (সূরা মায়েদা-৩২)।
সূরা নিসার ৯৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যে লোক সঙ্কল্প গ্রহণ করে কারণ মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করবে, তার প্রতিফলন হচ্ছে জাহান্নাম, তথায় সে চিরদিন থাকবে।’
এত হুমকি, সতর্ক ও হুঁশিয়ারির পরও সমাজে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। বরং হত্যার উপসর্গ আরো বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক আরেক সামাজিক সমস্যা ভয়াবহতা পেয়েছে। মেয়েদের উত্ত্যক্তকরণ। যার বৈজ্ঞানিক ও ডিজিটাল পরিভাষা হলো ইভটিজিং। বৈজ্ঞানিক ও ডিজিটাল বললাম এ জন্য যে, সময়টা বিজ্ঞান ও ডিজিটালের। সমাজে বিপথগামী বখাটে ছেলেদের দ্বারা বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন পেশার মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে এবং এর ফলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যক্তি ও সংস্কৃতির স্বাধীনতার নামে সর্বত্র চলছে নীতি-নৈতিকতা ও ধর্মিয় রীতিনীতির বিরোধী অপসংস্কৃতির ব্যাপক চর্চা। যার ফলে যুবক-যুবতীরা বেপয়োরা হয়ে উঠছে। ইভটিজিং আজ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর প্রতিবাদটুকুও করা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে আমরা দেখতে পেলাম মেয়েকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হলেন বাবা-মা, বোনকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হলেন ভাই, ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারা গেলেন শিক্ষক, নাতনীকে এর শিকার থেকে বাঁচাতে গিয়ে মারা পড়লেন নানা, ভাতিজাকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় খুন হলেন চাচা, এক কথায় এ রকম ফিরিস্তি দিয়ে শেষ করা যাবে না। প্রতিবাদ করলেই খুন বা আহত হচ্ছেন প্রতিবাদকারী।
তা ছাড়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা যে মহাপাপ তা ছেলেরা ভুলে যাচ্ছে। এর কারণ হলো শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমরা ইসলামি শিক্ষা নির্বাসিত করছি। ধর্মীয় মূল্যবোধ না থাকলে এর পরিণতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সমাজে মহাবিপর্যয় দেখা দেবে। অন্য দিকে মেয়েরা পর্দাপ্রথা থকে বেরিয়ে শর্ট জামাকাপড় পরে ছেলেদের এ কাজে উৎসাহ দিচ্ছে। দেশে ফ্যাশন শোর নামে দেদার চলছে সুন্দরী প্রতিযোগিতা। ব্যক্তি ও ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে দেহ প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। উঠতি বয়সের ছেলেদের বেপরোয়া হওয়ার এবং যৌবনের চাহিদা পূরণের সব দরজা খোলা। আজ জাতীয়ভাবে বিদেশী সংস্কৃতির চর্চার মহাপ্রতিযোগিতা ও মহড়া চলছে।
কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে গত ১০ ডিসেম্বর ২০১০ রাতে শাহরুখ খান, রানী মুখার্জিদের এনে যে নোংরামি ও নির্লজ্জ এবং উলঙ্গপনার সংস্কৃতি দেখানো হলো তা কোনো সভ্যসমাজে মেনে নিতে পারে না। এই আয়োজন এবং প্রদর্শনী ছিল আমাদের ঈমান-আকিদাবিরোধী এবং ইভটিজিংয়ের মতো জঘন্য অপরাধকে উসকে দেয়ার। অনুষ্ঠানে স্বামীকে দিয়ে স্ত্রীকে সিজদা করানোর মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে চরম আঘাত করা হয়েছে। এ ধরনের আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব।
পবিত্র কুরআনের সূরা নূরের ১৯ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যেসব লোক ঈমানদার লোকদের সমাজে নির্লজ্জতা, অশ্লীলতা, ব্যভিচার প্রকাশিত হোক তা পছন্দ করে, ভালোবাসে, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় স্থানেই পীড়াদায়ক আজাব নির্দিষ্ট রয়েছে। তা আল্লাহই ভালো জানেন, তোমরা জানো না।’
পবিত্র কুরআনে এত কঠিন হুঁশিয়ারি থাকার পরও মুসলমানের সন্তান হয়ে কেন আয়োজকরা এ ধরনের নির্লজ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যা সত্যিই দুঃখজনক। কেন এই জঘন্যতম আয়োজন। বিদেশী সংস্কৃতি আমদানির কেন এই অপতৎপরতা। অথচ ইউরোপ, আমেরিকা, ভারতসহ উন্নত বিশ্বের দাবিদার রাষ্ট্রগুলোতে আজ আমরা কি দেখতে পাচ্ছি। সেখানে বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড গ্রহণ এবং বর্জনই যেন জীবনে পরিণত হয়েছে এবং এটা মহামারীর আকার ধারণ করেছে।
আজ যেসব মেয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে তারা যদি ইসলামের পর্দার পোশাক পরত তাহলে কতই না সুন্দর হতো; ভালো হতো। অনুসন্ধান করলে এবং গবেষণায় পাওয়া যাবে ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া শতকরা একজনও পর্দানশীল মহিলা নয়। গত ৪ ডিসেম্বর ২০১০ দৈনিক আমাদের সময়ে নারীবাদী লেখক মিলন আহমদ লিখেছেন, ‘বোরকা এবং শর্ট পোশাক একই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি।’ অসম্ভব; দু’টির উদ্দেশ্য এক নয়। শর্ট পোশাক পরা হয় নিজেকে স্মার্ট হিসেবে প্রকাশ করার জন্য, নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য, ছেলেদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, বিদেশী সংস্কৃতি গ্রহণের জন্য ইত্যাদি। আর পর্দা যারা করেন তারা আল্লাহর হুকুম মানেন। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ। নামাজ-রোজা যেমন ফরজ মেয়েদের পর্দা বা হিজাব পরাও তেমনি ফরজ।
হিজাব বা পর্দা মেয়েদের ভূষণ। এটা পরলে শালীন দেখায় এবং সমাজে নারীসংশ্লিষ্ট অপরাধ হয় না। যার জ্বলন্ত প্রমাণ সে সময়ের মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র এবং বর্তমান সময়ে ইরান। অথচ এই হিজাবের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের আদালতে আইন পাস করছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর এবং আমাদের ঈমান-আকিদা, কুরআন-সুন্নাহবিরোধী। এটা কোনো মুসলমান মানতে পারে না। দেশটা আজ অন্যায়-অনাচার, পাপাচার এবং অশ্লীলতায় ভরে গেছে। মদ্যপায়ী ও নেশাখোরদের তৎপরতা বেড়ে চলছে। বিভিন্ন চ্যানেলের বিজ্ঞাপনে উলঙ্গ নারী দেহ প্রদর্শন, অশালীন পোশাক পরে অর্ধনগ্ন হয়ে চলাফেরা, ডিশ, ভিডিও, সিনেমা ও ইন্টারনেটে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে যুবসমাজকে বিপথগামী করা হচ্ছে, যা জাতীয় অগ্রগতির পথে বিরাট বাধা।
আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন, ‘বলো হে নবী! আমার রব হারাম করেছেন সমস্ত নির্লজ্জতা-নগ্নতা-অশ্লীলতা, তা প্রকাশমান হোক কি গোপন।’ (সূরা আরাফ-৩৩)
পবিত্র কুরআনের সূরা আনআমের ১২০ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যারা পাপের কাজ করে তাদের প্রতিফল দেয়া হবে তারই তা তারা করেছিল।’
সূরা নাহলের ৯০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, ‘আল্লাহ নিষেধ করেন সর্বপ্রকারের নির্লজ্জতার কাজ, ঘৃণ্য-অপছন্দনীয় এবং সত্যবিরোধী বাড়াবাড়ি কাজকে।’
উপরিউক্ত বিবিধ আলোচনার মাধ্যমে আমরা এটাই বুঝতে পারি যে, জাতি হিসেবে মুসলিম হলেও আমরা আজ সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার বাদ দিয়ে বিধর্মীদের উলঙ্গপনার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করছি। আজ অপসংস্কৃতির মহাবিস্ফোরণের কিনারায় বাংলাদেশ। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অপসংস্কৃতি নামক ঘুণ ধরেছে। হত্যা-খুন, রাহাজানি, বেপর্দা-বেহায়াপনা, ইভটিজিংসহ হাজারো সমস্যা হাজারো মহামারী যা মানুষেরই সৃষ্টি। এসব বন্ধ করতে পারে এবং মুক্তির একমাত্র পথ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা। যে রাষ্ট্র পারিবারিক কাঠামোকে ইসলামী অনুশাসনের আদলে গড়ে তুলবে। আর কাক্সিত সেই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আপসহীনভাবে করতে হবে। কুরআন-সুন্নাহ যে দিকনির্দেশনা দিয়েছে তা যদি আমরা অনুসরণ করে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহান লক্ষ্যে এগোতে পারি তাহলে অবশ্যই জাতি আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবে। আর সেই দিন আমরা সক্ষম হবো সমাজ ও রাষ্ট্রের হাজারো মহামারী দাফন করতে।
No comments:
Post a Comment