শেরেমেতিয়েভা বিমানবন্দরে নামার পর লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় শেখ হাসিনাকে। সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল তাকে সামরিক কায়দায় অভবাদন জানায়। এই সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর ভ্লাদিমিরোভিচ। রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম সাইফুল হকও ছিলেন সেখানে।
বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তায় মোটর শোভাযাত্রা করে মস্কোর প্রেসিডেন্ট হোটেলে যান প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে এই হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি।
শেখ হাসিনা হোটেলে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতারা ফুল দিয়ে দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনার এই সফরে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ চারটি চুক্তি ও ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার চুক্তিও এতে রয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মস্কো রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এ সময় দুই নেতার উপস্থিতিতে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার এবং সন্ত্রাস প্রতিরোধ বিষয়ে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।
পরমাণু চুক্তির অধীনে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক কাজের অর্থায়নের জন্য ৫০ লাখ ডলারের স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট চুক্তি এবং ঢাকায় পরমাণু শক্তি তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য দুটি ভিন্ন চুক্তি সই হবে।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র্রের প্রকৃত কাজের অর্থায়নের প্রধান পরিমাপকগুলোর বিষয়ে রাশিয়ার সমঝোতার বিষয়ে ৫০ লাখ ডলারের একটি স্মারকও সই হবে।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং বাংলাদেশ-রাশিয়া সহযোগিতার প্রেক্ষাপট নিয়ে বক্তৃতা দেবেন।
দুপুরে রাশিয়ার আনবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েনকোর সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। পরে তিনি ক্রেমলিন জাদুঘর ও গ্যাজপ্রম কার্যালয় পরিদর্শন করবেন।
বুধবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রীর দেশের পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম ওয়াহিদুজ্জামান এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ায় শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর এটি।
এর আগে ২০১০ সালের নভেম্বরে বাঘ সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবুর্গে গিয়েছিলেন তিনি।
No comments:
Post a Comment