দক্ষিণ
কোরিয়ার জনগণ বাংলাদেশের মানুষ বলতেই বুঝত শ্রমজীবী মানুষ। সেই ধারণা
পাল্টে দিচ্ছেন মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্রেইন কোরিয়া ২১’ নামের শ্রেষ্ঠ গবেষণা পদকটি পান
আরিফুল। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এ পদক দেওয়া হয়। এর আগে
বাংলাদেশের আর কেউ এই গৌরব অর্জন করেননি। গত বছর কোরিয়ার বিভিন্ন বিজ্ঞান
সাময়িকীতে যেসব গবেষণা নিবন্ধ ছাপা হয়, তার ওপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয় এই
পদক। আরিফুল তাঁর অক্লান্ত গবেষণাকাজের স্বীকৃতি হিসেবেই পেয়ে যান এই
গৌরবময় পদকটি।
আরিফুল তাঁর গবেষণায় মানবদেহে ক্যানসার, ভাইরাসজনিত সংক্রমণসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে জিন থেরাপি প্রয়োগের কার্যকারিতার কথা তুলে ধরেন। দক্ষিণ কোরিয়ার উল্লেখযোগ্য সব গবেষণা সংগঠনের সক্রিয় সদস্য তিনি। যেমন: কোরিয়া ন্যানোটেকনোলজি রিসার্চ সোসাইটি (ন্যানো কোরিয়া), দি পলিমার সোসাইটি অব কোরিয়া (কেপিএস), কোরিয়ান সোসাইটি ফর বায়োম্যাটেরিয়ালস (কেএসবি), সোসাইটি ফর কোরিয়ান টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন (কেটিইআরএমআইএস)। গবেষণায় নতুনত্ব ও অভিনবত্বের জন্য তিনি কোরিয়ান মেধাস্বত্ব অধিকার (পেটেন্ট) লাভ করেছেন দুটি ক্ষেত্রে। এর একটি হচ্ছে জিন থেরাপি চিকিৎসাপদ্ধতিতে ব্যবহূত পলিসরবেট বাহক এবং অপরটি মুখে খাওয়ানোর মাইক্রো ক্যাপসুল।
ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) থেকে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর আরিফুল দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ২০০৮ সালের মার্চে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি দেন। সেখানে সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮-১০ শিক্ষাবর্ষের ‘এগ্রিকালচারাল বায়োটেকনোলজি’র ওপর স্নাতকোত্তর করেন। মাস্টার্স শেষে ২০১০-১৩ শিক্ষাবর্ষের পিএইচডি কোর্সে অংশ নেন। ‘এগ্রিকালচারাল বায়োটেকনোলজি’ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন তিনি। এখন পোস্ট-ডক্টরেটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী মার্চ থেকে তাঁর সেশন শুরু হবে।
ঢাকার মুন্সিগঞ্জের ছেলে আরিফুল। মা ও পাঁচ ভাই নিয়ে তাঁদের পরিবার থাকে জুরাইনে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার এক মাস আগে তাঁর বাবা মারা যান। ২০১০ সালে সহপাঠী জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়ে করেন আরিফুল। দুজনেই একই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন স্নাতক শ্রেণীতে। জান্নাতুলও এখন সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
আরিফুলের ভবিষ্যৎ ভাবনাও খুব স্বচ্ছ। ‘বায়োটেকনোলজি নিয়ে আরও অভিজ্ঞতা নিতে চাই। তারপর একে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর কথা ভাবব। আর যাঁরা এ বিষয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে তো আছেই।’ বললেন তিনি।
আশাবাদী আরিফুলের মতে, ‘আমাদের দেশে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু সম্ভাবনার ক্ষেত্রও রয়েছে প্রচুর।’ এ সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে তিনি দেশের মাটিতে একটি বিশ্বমানের বায়ো-মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। যাতে করে বায়ো-মেডিকেল বিজ্ঞানী, বায়োটেকনোলজিস্ট, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার, ধাতব প্রকৌশলী, আণবিক জীববিজ্ঞানী, রোগ প্রতিরোধ গবেষক ও অণুজীববিজ্ঞানী বেরিয়ে আসবেন। যাঁরা নিয়োজিত থাকবেন গবেষণাকর্মে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে বিশ্বমানের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছরই এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষাবৃত্তি আহ্বান করা হয়। এখানে গবেষণাগারে যেসব বিষয় নিয়ে গবেষণা হয়, তা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নের সুযোগ থাকে। ফলে কোনো গবেষণা বিফলে যায় না।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। আরিফুল এখন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী স্নাতকদের দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় আসা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে সুনামের সঙ্গে কাজও করছেন।
আরিফুল তাঁর গবেষণায় মানবদেহে ক্যানসার, ভাইরাসজনিত সংক্রমণসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে জিন থেরাপি প্রয়োগের কার্যকারিতার কথা তুলে ধরেন। দক্ষিণ কোরিয়ার উল্লেখযোগ্য সব গবেষণা সংগঠনের সক্রিয় সদস্য তিনি। যেমন: কোরিয়া ন্যানোটেকনোলজি রিসার্চ সোসাইটি (ন্যানো কোরিয়া), দি পলিমার সোসাইটি অব কোরিয়া (কেপিএস), কোরিয়ান সোসাইটি ফর বায়োম্যাটেরিয়ালস (কেএসবি), সোসাইটি ফর কোরিয়ান টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন (কেটিইআরএমআইএস)। গবেষণায় নতুনত্ব ও অভিনবত্বের জন্য তিনি কোরিয়ান মেধাস্বত্ব অধিকার (পেটেন্ট) লাভ করেছেন দুটি ক্ষেত্রে। এর একটি হচ্ছে জিন থেরাপি চিকিৎসাপদ্ধতিতে ব্যবহূত পলিসরবেট বাহক এবং অপরটি মুখে খাওয়ানোর মাইক্রো ক্যাপসুল।
ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) থেকে ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর আরিফুল দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ২০০৮ সালের মার্চে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি দেন। সেখানে সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮-১০ শিক্ষাবর্ষের ‘এগ্রিকালচারাল বায়োটেকনোলজি’র ওপর স্নাতকোত্তর করেন। মাস্টার্স শেষে ২০১০-১৩ শিক্ষাবর্ষের পিএইচডি কোর্সে অংশ নেন। ‘এগ্রিকালচারাল বায়োটেকনোলজি’ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন তিনি। এখন পোস্ট-ডক্টরেটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী মার্চ থেকে তাঁর সেশন শুরু হবে।
ঢাকার মুন্সিগঞ্জের ছেলে আরিফুল। মা ও পাঁচ ভাই নিয়ে তাঁদের পরিবার থাকে জুরাইনে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার এক মাস আগে তাঁর বাবা মারা যান। ২০১০ সালে সহপাঠী জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়ে করেন আরিফুল। দুজনেই একই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন স্নাতক শ্রেণীতে। জান্নাতুলও এখন সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
আরিফুলের ভবিষ্যৎ ভাবনাও খুব স্বচ্ছ। ‘বায়োটেকনোলজি নিয়ে আরও অভিজ্ঞতা নিতে চাই। তারপর একে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর কথা ভাবব। আর যাঁরা এ বিষয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে তো আছেই।’ বললেন তিনি।
আশাবাদী আরিফুলের মতে, ‘আমাদের দেশে অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু সম্ভাবনার ক্ষেত্রও রয়েছে প্রচুর।’ এ সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে তিনি দেশের মাটিতে একটি বিশ্বমানের বায়ো-মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। যাতে করে বায়ো-মেডিকেল বিজ্ঞানী, বায়োটেকনোলজিস্ট, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার, ধাতব প্রকৌশলী, আণবিক জীববিজ্ঞানী, রোগ প্রতিরোধ গবেষক ও অণুজীববিজ্ঞানী বেরিয়ে আসবেন। যাঁরা নিয়োজিত থাকবেন গবেষণাকর্মে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে বিশ্বমানের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছরই এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষাবৃত্তি আহ্বান করা হয়। এখানে গবেষণাগারে যেসব বিষয় নিয়ে গবেষণা হয়, তা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নের সুযোগ থাকে। ফলে কোনো গবেষণা বিফলে যায় না।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। আরিফুল এখন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী স্নাতকদের দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় আসা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে সুনামের সঙ্গে কাজও করছেন।
No comments:
Post a Comment