বৃহস্পতিবার তা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে
পাঠানো হবে বলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি
বোস জানিয়েছেন।
তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মন্ত্রণালয় ডিপিপি (ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রফর্মা বা উন্নয়ন পরিকল্পনা
প্রস্তাব) চূড়ান্ত করার পর শিগগিরই তা একনেকে
উঠবে।
উৎক্ষেপণের জন্য উপগ্রহের
মূল অংশ তৈরির (ম্যানুফ্যাচারিং)
জন্য আন্তজার্তিক দরপত্র প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে প্রয়োজনীয় দলিলও (ডকুমেন্ট)
তৈরি করেছে বিটিআরসি।
সুনীল বোস বলেন, একনেকে প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই দরপত্র
আহ্বান করা হবে।
অর্থায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উপগ্রহ উৎক্ষেপণে ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে, যা সরকারের
জন্য একটি বড় মাপের টাকা, তাই সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) সুপারিশ
করা হয়েছে।”
উপগ্রহ উৎক্ষেপণে আলাদা চারটি আন্তজার্তিক দরপত্র আহ্বানের
পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে বিটিআরসি।
স্যাটেলাইটের মূল অংশ তৈরি (ম্যানুফ্যাচারিং), স্যাটেলাইট
উৎক্ষেপণ (লঞ্চ ভেহিকল), গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন এবং বীমা (ইন্সুরেন্সে) এই চারটি বিষয়ে পৃথক দরপত্র আহ্বান করা হবে।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনে তিন থেকে চার
হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পেস
পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) সঙ্গে
বিটিআরসি কাজ করছে। গত ২৯ মার্চ বিটিআরসি-এসপিআই চুক্তি সই হয়।
চুক্তি
সইয়ের সময় তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু
জানিয়েছিলেন, তিন বছরের মধ্যে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’
উৎক্ষেপণ হবে।
বাজার মূল্যায়ন, বাজারজাতকরণ, বিশেষজ্ঞদের
প্রশিক্ষণ, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
কাজ করবে। এজন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসপিআইকে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা দিতে
হচ্ছে।
‘৩ বছরের মধ্যে আকাশে যাবে বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ’
উপগ্রহ প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায়
অংশ হিসেবে পরামর্শক বিষয়ক প্রজেক্ট অফিসের কাজ শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। বিটিআরসি ভবনের পঞ্চম তলায়
অফিসের কাজ শুরু হয়েছে এবং এই কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিটিআরসি উপ-পরিচালক
মো. গোলাম রাজ্জাককে।
বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট
টেলিভিশন চ্যানেলগুলো, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট
এবং রেডিওগুলো বিদেশি উপগ্রহের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছে।
বিটিআরসির হিসাবে, প্রতিটি
টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ডলার দিয়ে থাকে। বর্তমানে ১৯টি টিভি
চ্যানেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪০ লাখ ডলার ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ নিজস্ব উপগ্রহ চালু
করতে পারলে ভাড়া বাবদ অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করতে পারবে বলে মনে করছে বিটিআরসি।
No comments:
Post a Comment