ওপরে (বাঁয়ে) বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, (ডানে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, নিচে
(বাঁয়ে) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও (ডানে) আফগানিস্তানের
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।
দক্ষিণ
এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। এ
নির্বাচনের মাধ্যমে দেশগুলোর বর্তমান নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে বলে
বিভিন্ন বিশ্লেষক ও গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে।
বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনও সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে শেখ হাসিনা সরকারের পুনরায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নিয়ে দেশ-বিদেশের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত খোদ ভারতও এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকায় ক্ষমতা বদলের সম্ভাবনা দেখছে দিল্লি। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দিল্লির এ আশঙ্কার কথা গত ২৯ আগস্ট দেশটির প্রভাবশালী ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকা প্রকাশ করেছে।
এরই প্রেক্ষাপটে ঢাকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে দিল্লি। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দিল্লির আমন্ত্রণে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও খালেদা জিয়ার ভারত সফর আওয়ামী লীগে অস্বস্তি বাড়িয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রভাবশালী দেশের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। মহাজোট সরকারের সমালোচনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও বেশ সরব।
নির্ধারিত সময় অনুসরণ করলে ২০১৪ সালে ভারতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। দেশ পরিচালনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। একের পর এক কেলেঙ্কারি, সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন বিষয়ে শরিকদের সঙ্গে মতভেদসহ নানামুখী চাপের মধ্যে আছে মনমোহন সিংয়ের সরকার।
সম্প্রতি ইউপিএ জোট থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বেরিয়ে যাওয়ায় সরকার টিকিয়ে রাখতে মনমোহন সিং ও সোনিয়া গান্ধীকে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। ভারতীয় কলাম লেখক তাবলিন সিংয়ের মতে, ১৯৭৭ সালের পর কংগ্রেসের অবস্থা এখনকার মতো শোচনীয় আর কখনো হয়নি। এমনকি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ইউপিএ সরকারের টিকে থাকার সক্ষমতা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। জোড়াতালি দিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেও কংগ্রেসের আবার ক্ষমতায় আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েই চলছে।
সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ ও শরিকদের মধ্যে ক্ষমতার টানাপোড়েনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করা নিয়ে আশঙ্কা নতুন কিছু নয়। এতে দেশটিতে আগাম সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা ২৭ নভেম্বর জানিয়েছেন, আগামী বছরের মে মাসে দেশটিতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে। এই প্রথম সরকারের কোনো দায়িত্বশীল মন্ত্রীর কাছ থেকে সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এল।
পিপিপির নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্তির খাতায় জমা হয়েছে জঙ্গিবাদের দামামা, রক্তের বন্যা, মৃত্যুর মিছিল, অপশাসনের ঝনঝনানি, লাগামহীন দুর্নীতি, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিভিন্ন জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট জারদারির গ্রহণযোগ্যতা এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপের ফল অনুযায়ী, ২০০৮ সালে জারদারির জনপ্রিয়তা ছিল ৬৪ শতাংশ। এখন তা কমে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অপরদিকে প্রতি ১০ জন পাকিস্তানির মধ্যে সাতজনই সাবেক ক্রিকেট তারকা ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খানের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। গত ৩০ জুন ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আফগানিস্তানে ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন এ তারিখ ঘোষণা করে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এ নির্বাচনে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাই আফগানিস্তানে নেতৃত্বের পরিবর্তন নিশ্চিত।
নেপালে গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক সংকট চলছে। বর্তমানে মাওবাদীদের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিয়ে দেশ চলছে। এ অবস্থায় আগামী বছরের এপ্রিল বা মে মাসে নতুন করে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ডাক দিয়েছে সরকার। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটতে পারে।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে।
বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনও সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে শেখ হাসিনা সরকারের পুনরায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নিয়ে দেশ-বিদেশের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত খোদ ভারতও এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকায় ক্ষমতা বদলের সম্ভাবনা দেখছে দিল্লি। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দিল্লির এ আশঙ্কার কথা গত ২৯ আগস্ট দেশটির প্রভাবশালী ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকা প্রকাশ করেছে।
এরই প্রেক্ষাপটে ঢাকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে দিল্লি। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দিল্লির আমন্ত্রণে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও খালেদা জিয়ার ভারত সফর আওয়ামী লীগে অস্বস্তি বাড়িয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রভাবশালী দেশের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। মহাজোট সরকারের সমালোচনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও বেশ সরব।
নির্ধারিত সময় অনুসরণ করলে ২০১৪ সালে ভারতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। দেশ পরিচালনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। একের পর এক কেলেঙ্কারি, সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন বিষয়ে শরিকদের সঙ্গে মতভেদসহ নানামুখী চাপের মধ্যে আছে মনমোহন সিংয়ের সরকার।
সম্প্রতি ইউপিএ জোট থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বেরিয়ে যাওয়ায় সরকার টিকিয়ে রাখতে মনমোহন সিং ও সোনিয়া গান্ধীকে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। ভারতীয় কলাম লেখক তাবলিন সিংয়ের মতে, ১৯৭৭ সালের পর কংগ্রেসের অবস্থা এখনকার মতো শোচনীয় আর কখনো হয়নি। এমনকি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ইউপিএ সরকারের টিকে থাকার সক্ষমতা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। জোড়াতালি দিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেও কংগ্রেসের আবার ক্ষমতায় আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েই চলছে।
সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ ও শরিকদের মধ্যে ক্ষমতার টানাপোড়েনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করা নিয়ে আশঙ্কা নতুন কিছু নয়। এতে দেশটিতে আগাম সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা ২৭ নভেম্বর জানিয়েছেন, আগামী বছরের মে মাসে দেশটিতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে। এই প্রথম সরকারের কোনো দায়িত্বশীল মন্ত্রীর কাছ থেকে সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এল।
পিপিপির নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্তির খাতায় জমা হয়েছে জঙ্গিবাদের দামামা, রক্তের বন্যা, মৃত্যুর মিছিল, অপশাসনের ঝনঝনানি, লাগামহীন দুর্নীতি, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিভিন্ন জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট জারদারির গ্রহণযোগ্যতা এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপের ফল অনুযায়ী, ২০০৮ সালে জারদারির জনপ্রিয়তা ছিল ৬৪ শতাংশ। এখন তা কমে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অপরদিকে প্রতি ১০ জন পাকিস্তানির মধ্যে সাতজনই সাবেক ক্রিকেট তারকা ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খানের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। গত ৩০ জুন ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আফগানিস্তানে ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন এ তারিখ ঘোষণা করে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এ নির্বাচনে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাই আফগানিস্তানে নেতৃত্বের পরিবর্তন নিশ্চিত।
নেপালে গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক সংকট চলছে। বর্তমানে মাওবাদীদের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিয়ে দেশ চলছে। এ অবস্থায় আগামী বছরের এপ্রিল বা মে মাসে নতুন করে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ডাক দিয়েছে সরকার। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটতে পারে।
No comments:
Post a Comment