প্রবাসে আঞ্চলিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা
প্রবাসে আঞ্চলিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা-
আঞ্চলিকতা নিয়ে আমাদের মধ্যে দাম্ভিকতা আছে, আছে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এ লড়াই সুখের, এ লড়াইয়ে সুপ্তাবস্থায় যে গর্ববোধ কাজ করে তার একটি শক্তিশালী পজিটিভ দিক রয়েছে। আঞ্চলিকতাকে কোনো কোনো ব্যক্তি বাঁকা চোখে দেখে থাকেন। মূলতঃ তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি প্রকট নয় বলেই এমন মনে হয়। একটি অঞ্চল নিয়েই সমাজ, সমাজ নিয়ে জাতি এবং একটি দেশ। সুতরাং অঞ্চল হচ্ছে শিকড় এবং আঞ্চলিকতা অঞ্চলের বিশেষণ।
আঞ্চলিকতা নিয়ে আমাদের মধ্যে দাম্ভিকতা আছে, আছে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এ লড়াই সুখের, এ লড়াইয়ে সুপ্তাবস্থায় যে গর্ববোধ কাজ করে তার একটি শক্তিশালী পজিটিভ দিক রয়েছে। আঞ্চলিকতাকে কোনো কোনো ব্যক্তি বাঁকা চোখে দেখে থাকেন। মূলতঃ তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি প্রকট নয় বলেই এমন মনে হয়। একটি অঞ্চল নিয়েই সমাজ, সমাজ নিয়ে জাতি এবং একটি দেশ। সুতরাং অঞ্চল হচ্ছে শিকড় এবং আঞ্চলিকতা অঞ্চলের বিশেষণ।
বাঙালিরা পৃথিবীর সকল দেশেই এখন ছড়িয়ে রয়েছেন। যেখানেই বাঙালি সেখানেই আঞ্চলিক সংগঠন জন্ম নিয়েছে। সঙ্গে জাতীয় পরিচয়ের সংগঠনও রয়েছে।এ আঞ্চলিক সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, সু-সময়ে দুঃসময়ে একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসা, ইনফরমেশন শেয়ার, নিজেদের উন্নয়ন- শিক্ষা, এবং
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন পজিটিভ কাজ করা ইত্যাদি নিয়ে তাদের
কর্মতৎপরতার চালিয়ে যায়। এর সঙ্গে আরেকটি মহৎ কাজ সম্পন্ন হয় আর তা হচ্ছে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং জাতিয় দুযোর্গে এবং উন্নয়নে
অবদান। বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন নিয়মিত দেশের গরিব দুঃস্থদের জন্য কাজ করে
চলেছেন। শিক্ষার উন্নয়নে অঞ্চল ভিত্তিক প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য্য।
এমন অনেক সংগঠন রয়েছে যারা শিক্ষা উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন।
আঞ্চলিক সংগঠনের সহায়তায় দেশে হাসপাতাল, স্কুল.
এতিমখানা ইত্যাদি গড়ে উঠছে। সুতরাং আঞ্চলিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা
একবাক্যে বলা যায়। কিন্তু আঞ্চলিক সংগঠনও কোনো কোনো সময় দেশও কম্যুনিটির
জন্য নেতিবাচক ভূমিকায় অবর্তীণ হয় । যেমন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মতৎপরতা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ ইত্যাদি নানাবিধ হীনকর্ম-অত্যাচার ও অনাচার করে দেশের বদনাম করা। এগুলোর মূল কারণ হলো অদূরদর্শী ব্যাক্তিরা সংগঠনের দায়িত্ব আকড়ে ধরে রাখা, শিক্ষিত জ্ঞানীদের অবজ্ঞা করা ।
তাই প্রয়োজন হয় সাধারণ জনতাকে সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং অদূরদর্শী
ব্যাক্তিদেরকে সর্বদাই দূরে ঠেকিয়ে রাখা। শুধু এ একটি কাজ সম্ভব হলেই
আঞ্চলিক সংগঠনগুলো হয়ে উঠবে কম্যুনিটির ভরসাস্থল।
No comments:
Post a Comment