কেন আগুনে পোড়ে গার্মেন্টস শ্রমিক?
সর্বশেষ আপডেট সোমবার, 26 নভেম্বর, 2012 18:09 GMT 00:09 বাংলাদেশ সময়
বাংলাদেশে তৈরি পোষাক শিল্পে আগুনে প্রাণহানির ঘটনা প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়।
তবে গত কয়েক বছরের মধ্যে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে
সবচাইতে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করে হচ্ছে। তৈরি পোষাক শিল্পকে এর জন্য নিয়মিতই
প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলছেন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কিছু বিষয়ের একই রকম থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবার কথাবার্তা উঠলেও তার আবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
আশুলিয়ার এই অগ্নিকান্ডের পর কারখানার সতর্ক অ্যালার্ম বাজার পরও শ্রমিকরা বের হবার অনুমতি পাননি বলে জানিয়েছেন দমকল বাহিনীর উপ সহকারী পরিচালক মাসুদর রহমান।
তিনি বলেন অগ্নি নির্বাপনী মহড়ার অনুপস্থিতি মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় কেননা শ্রমিকরা ঘটনার সময় কি করবেন সে নিয়ে পরিষ্কার বুঝতে পারেন না।
এ ঘটনায় যেমন শ্রমিকরা বের হবার অনুমতি পাননি তেমনি পূর্ববর্তী বেশ কটি ঘটনায় কারখানার প্রধান দরজা তালাবন্ধ থাকার অভিযোগ উঠেছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নেত্রী মোশরেফা মিশু বলেন, ''উৎপাদন বাড়িয়ে মুনাফা বেশি লাভের একটি প্রচেষ্টা সবসময় মালিকদের মধ্যে কাজ করে। তাই শ্রমিকরা যাতে বাইরে যেতে না পারে সেজন্যে তাদের তালা বদ্ধ রাখার ঘটনা ঘটে। আর তাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যাহত হয়। তাছাড়া শ্রমিকদের প্রতি অনাস্থার একটি বিষয় রয়েছে।''
তবে শ্রম অধিকার নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিলসের কর্মকর্তা সুলতান উদ্দিন বলেন, ''এ ধরনের ঘটনায় কাউকে কখনো দায়বদ্ধ করা হয়নি বা কাউকে সাজা দেবার নমুনা নেই। তাই তারা কাজের পরিবেশ উন্নয়নে কোন দায়িত্ব নেয়না। এটাকে অবহেলামুলক হত্যাকাণ্ড বলব।''
বাংলাদেশে প্রায় ৫০০০ তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। প্রায় ৫০ লাখের মতো শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পকে নিয়মিতই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
এই শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান অবশ্য বলেন, ''ক্রেতাদের কাছে আমাদের অনেক বিষয়ে জবাবদিহি করতে হয় বিশেষ করে আগুনের নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের অনেককিছু করতে হয়। সেটা না হলে আমরা কাজ হারাব। অতএব এই ঝুঁকি আমরা কেন নেব।''
তবে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের উদ্যোগকে অপর্যাপ্ত বলে মনে করেছেন।
No comments:
Post a Comment