গতকাল ২৪ নভেম্বর
শনিবার দুপুরে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন’ আয়োজিত বিক্ষোভ
সমাবেশে বক্তারা প্রহসনের ট্রাইবুনালে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে বরেণ্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও
ত্যাগী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিচার বন্ধ করে অবিলম্বে ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দিয়ে বন্দী নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবী করেছেন। পাশাপাশি তারা সমগ্র বাংলাদেশ
জুড়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্র লীগ-যুবলীগে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিরোধী দলের মিছিল সমাবেশে সশস্ত্র হামলা, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের
বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন, লুটপাটসহ আওয়ামী দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য প্রবাসীসহ
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়ানোর
আহবান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে হাজার হাজার
প্রবাসী বাংলাদেশী নারীপুরুষ অংশ নেন। হাড় কাঁপানা শীত উপেক্ষা করে নিউইয়র্কের
বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও আশেপাশের
ষ্টেটগুলো থেকে তারা সকাল থেকে এসে ইষ্ট
রিভারের তীরে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর
দফতরের
সামনে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মহিলা ও নতুন
প্রজন্মের তরুণ তরুণীর উপস্থিতি ছিল
চোখে পড়ার মত। তারা বহন করছিলেন আটক
নেতাদের ছবিসহ তাদের মুক্তির
দাবী সম্বলিত পোষ্টার ও ব্যানার
এবং কণ্ঠে উচ্চারণ করছিলেন বিভিন্ন শ্লোগান। বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
হয় বিক্ষোভ সমাবেশের কাজ।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবু সামীহাহ সিরাজুল
ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য পেশ
করেন প্রফেসরস এসোসিয়েশনের
সভাপতি অধ্যাপক কাজী মোঃ ঈসমাইল, প্রগ্রেসিভ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক
মাহবুবুর রহমান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল
হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু ওবায়দা,
বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট ও আলহাজ্ব
সোলায়মান ভু্ইঁয়া, সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের
সভাপতি আব্দুল খালেক, জাতীয় যুব কমান্ডের সভাপতি আলম চৌধুরী, ক্যাবি সোসাইটির
সভাপতি আজিজুল্লাহ, বিল্ডার্স এসোসিয়েশন
সভাপতি আমিনুর রসূল জামশেদ,
ওলামা পরিষদের সভাপতি ফজলুল বারী,
দাগনভূইঁয়া সমিতির সাবেক
সভাপতি শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১
সালে মুক্তিযুদ্ধ
চলাকালে মানবতা বিরোধী অপরাধের
অভিযোগ ঢালাওভাবে জামায়াতের উপর আরোপ
করে দলটির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার
করে একটি প্রহসনের ট্রাইব্যুনালে একতরফা বিচার করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য
মন্ত্রীরা অভিযুক্তদের কি দন্ড
হবে এবং কবে তা কার্যকর করা হবে তা তাদের
বক্তৃতায় যে ভাষা ও যে ভঙ্গিমায়
বলে বেড়াচ্ছেন তাতে এটা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে তারা ট্রাইব্যুনালকে কি ইঙ্গিত
দিচ্ছেন। তাছাড়া ট্রাইব্যুনালের গঠণ, এ
সংক্রান্ত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু
থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আইন
বিষয়ক সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলেছেন।
তারা সংশয় প্রকাশ করেছেন যে বিচারের আন্তর্জাতিক মান রক্ষিত হবে না। কারণ
সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই এ
ধরণের বিচার নাটক মঞ্চায়নের
ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তারা বলেন, জামায়াত নেতারাই যদি ১৯৭১
সালে সব অপরাধ করে থাকবেন, তাহলে পাকিস্তানী সৈন্যরা বাংলাদেশে কি করেছে?
মুক্তিযুদ্ধ কি পাকিস্তানী সৈন্যদের
বিরুদ্ধে ছিল, না জামায়াতে ইসলামীর
বিরুদ্ধে ছিল? দেশ স্বাধীন হওয়ার পর
বাংলাদেশের প্রথম সরকার যুদ্ধাপরাধ ও
গণহত্যার দায়ে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা অফিসারকে অভিযুক্ত
করেছিল,
তাদেরকে বিনা বিচারে ছেড়ে দেয়া হলো কেন?
এসব বিশ্লেষণ করলেই
দেখা যাবে যে বর্তমান আওয়ামী সরকার
স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার লক্ষ্যে ও বাংলাদেশের নিবেদিতপ্রাণ
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কলঙ্কিত ও জাতির
কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই হীন
চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
তারা আরো বলেন,
জামায়াতে ইসলামী সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় সব
কটি নির্বাচনেই দলটি অংশ
নিয়েছে এবং জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব
করেছে। কিন্তু তথাকথিত মহাজোট সরকার
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জামায়াতকে কোণঠাসা করার জন্য জামায়াত
নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নিপীড়ন
চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখন তা সকল
সীমা অতিক্রম করেছে। গত আড়াই বছর
ধরে দলটির প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকান্ড
তথা মিছিল-মিটিংয়ের ওপর সরকার অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে- সরকার
একটি সুসংগঠিত গণতান্ত্রিক দলের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দলটির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অধিকাংশ জেলা অফিস
কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হামলা ও লুণ্ঠন করা হয়েছে। জামায়াত নেতাকর্মীদের
বিরুদ্ধে প্রায় দু’হাজার মামলা দিয়ে ত্রাস
সৃষ্টি করেছে। তারা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
নির্দেশে সরকারি দলের
ক্যাডাররা সারা দেশে জামায়াত শিবির
অফিস, জামায়াতের নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে ও
অগ্নিসংযোগ করছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের
সন্ত্রাসীদের তান্ডবে দেশজুড়ে বিভীষিকার
রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষ মদদ
জোগাচ্ছে পুলিশ।
বক্তারা বলেন, গণতন্ত্রের নামাবলী গায়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ
প্রকৃতপক্ষে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন
প্রতিষ্ঠার মহড়া দিচ্ছে, আর সেই মহড়ার
প্রথম শিকারে পরিণত হয়েছে জামায়াতের
নেতাকর্মীরা। কিন্তু তারা এখানেই
থেমে থাকবে না। জামায়াতের উপর তারা জুলুম করে পার পেয়ে গেলে দেশের কোন
জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তি তাদের ছোবল
থেকে রক্ষা পাবে না। অতএব
তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবার এখনই
উপযুক্ত সময়। তারা সরকারের প্রতি ধিক্কার
জানিয়ে বলেন, বিপুল সংখ্যাগারষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায়
গিয়ে নিজেদের আচরণ
দ্বারা আওয়ামী আরো একবার প্রমাণ
করেছে যে ক্ষমতা হাতে পেলে তারা কিভাবে ক্ষমতার
অপব্যবহার করে। ১৯৭৩ সালে ক্ষমতায়
এসে তারা একই আচরণ করেছিল বলে ১৯৭৫ সালে যে চরম খেসারত
দিতে হয়েছে তা থেকে দলটির কান্ডারীদের
শিক্ষা হয়নি। নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য
তারা দেশকে অশান্ত ও নৈরাজ্যকর
পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যার
পরিণতি কিছুতেই শুভ হতে পারে না। তারা সরকারকে প্রতিহিংসাপরায়ণ
তা থেকে নিবৃত হয়ে সহনশীল হওয়ার পরামর্শ
দেন।
বিচারের নামে ট্রাইবুনালকে প্রহসন উল্লেখ
করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ট্রাইবুনালে জামায়াত
নেতাদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ আনা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত একটি অভিযোগও
সরাসরি প্রমাণ সরকার পক্ষ হাজির করতে পারেনি।
তারা আরো বলেন,
ট্রাইবুনালে মাওলানা সাঈদীর
পক্ষে সাক্ষী দিতে এসে সুখরঞ্জন বালী ডিবি কর্তৃক অপহরণ হলে আদালত নিরব
ভূমিকা পালন করছে।
এমনকি মাওলানা সাঈদীকে আত্মপক্ষ
সমর্থনের সুযোগ দিচ্ছে না। ট্রাইবুনাল
যুক্তি তর্কে পরাজিত হয়ে সাঈদীর
আইনজীবিদের হয়রানি করছে। এছাড়া বক্তারা অন্যান্য ইস্যু যেমন
পদ্মা সেতুর কেলেঙ্কারীতে জড়িত
দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠা এবং কেয়ারটেকার সরকারের
অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর
দাবী জানান। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা শ্লোগানে শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত
করে রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা প্রহসনের ট্রাইবুনালে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে বরেণ্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও
ত্যাগী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিচার বন্ধ করে অবিলম্বে ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দিয়ে বন্দী নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবী করেছেন। পাশাপাশি তারা সমগ্র বাংলাদেশ
জুড়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্র লীগ-যুবলীগে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিরোধী দলের মিছিল সমাবেশে সশস্ত্র হামলা, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের
বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন, লুটপাটসহ আওয়ামী দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য প্রবাসীসহ
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়ানোর
আহবান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে হাজার হাজার
প্রবাসী বাংলাদেশী নারীপুরুষ অংশ নেন। হাড় কাঁপানা শীত উপেক্ষা করে নিউইয়র্কের
বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও আশেপাশের
ষ্টেটগুলো থেকে তারা সকাল থেকে এসে ইষ্ট
রিভারের তীরে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর
দফতরের
সামনে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মহিলা ও নতুন
প্রজন্মের তরুণ তরুণীর উপস্থিতি ছিল
চোখে পড়ার মত। তারা বহন করছিলেন আটক
নেতাদের ছবিসহ তাদের মুক্তির
দাবী সম্বলিত পোষ্টার ও ব্যানার
এবং কণ্ঠে উচ্চারণ করছিলেন বিভিন্ন শ্লোগান। বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু
হয় বিক্ষোভ সমাবেশের কাজ।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবু সামীহাহ সিরাজুল
ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য পেশ
করেন প্রফেসরস এসোসিয়েশনের
সভাপতি অধ্যাপক কাজী মোঃ ঈসমাইল, প্রগ্রেসিভ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক
মাহবুবুর রহমান, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল
হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু ওবায়দা,
বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট ও আলহাজ্ব
সোলায়মান ভু্ইঁয়া, সাঈদী মুক্তি আন্দোলনের
সভাপতি আব্দুল খালেক, জাতীয় যুব কমান্ডের সভাপতি আলম চৌধুরী, ক্যাবি সোসাইটির
সভাপতি আজিজুল্লাহ, বিল্ডার্স এসোসিয়েশন
সভাপতি আমিনুর রসূল জামশেদ,
ওলামা পরিষদের সভাপতি ফজলুল বারী,
দাগনভূইঁয়া সমিতির সাবেক
সভাপতি শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১
সালে মুক্তিযুদ্ধ
চলাকালে মানবতা বিরোধী অপরাধের
অভিযোগ ঢালাওভাবে জামায়াতের উপর আরোপ
করে দলটির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার
করে একটি প্রহসনের ট্রাইব্যুনালে একতরফা বিচার করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য
মন্ত্রীরা অভিযুক্তদের কি দন্ড
হবে এবং কবে তা কার্যকর করা হবে তা তাদের
বক্তৃতায় যে ভাষা ও যে ভঙ্গিমায়
বলে বেড়াচ্ছেন তাতে এটা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে তারা ট্রাইব্যুনালকে কি ইঙ্গিত
দিচ্ছেন। তাছাড়া ট্রাইব্যুনালের গঠণ, এ
সংক্রান্ত আইন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু
থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আইন
বিষয়ক সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলেছেন।
তারা সংশয় প্রকাশ করেছেন যে বিচারের আন্তর্জাতিক মান রক্ষিত হবে না। কারণ
সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই এ
ধরণের বিচার নাটক মঞ্চায়নের
ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তারা বলেন, জামায়াত নেতারাই যদি ১৯৭১
সালে সব অপরাধ করে থাকবেন, তাহলে পাকিস্তানী সৈন্যরা বাংলাদেশে কি করেছে?
মুক্তিযুদ্ধ কি পাকিস্তানী সৈন্যদের
বিরুদ্ধে ছিল, না জামায়াতে ইসলামীর
বিরুদ্ধে ছিল? দেশ স্বাধীন হওয়ার পর
বাংলাদেশের প্রথম সরকার যুদ্ধাপরাধ ও
গণহত্যার দায়ে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা অফিসারকে অভিযুক্ত
করেছিল,
তাদেরকে বিনা বিচারে ছেড়ে দেয়া হলো কেন?
এসব বিশ্লেষণ করলেই
দেখা যাবে যে বর্তমান আওয়ামী সরকার
স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার লক্ষ্যে ও বাংলাদেশের নিবেদিতপ্রাণ
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কলঙ্কিত ও জাতির
কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই হীন
চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
তারা আরো বলেন,
জামায়াতে ইসলামী সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় সব
কটি নির্বাচনেই দলটি অংশ
নিয়েছে এবং জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব
করেছে। কিন্তু তথাকথিত মহাজোট সরকার
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জামায়াতকে কোণঠাসা করার জন্য জামায়াত
নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নিপীড়ন
চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখন তা সকল
সীমা অতিক্রম করেছে। গত আড়াই বছর
ধরে দলটির প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকান্ড
তথা মিছিল-মিটিংয়ের ওপর সরকার অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে- সরকার
একটি সুসংগঠিত গণতান্ত্রিক দলের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দলটির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অধিকাংশ জেলা অফিস
কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হামলা ও লুণ্ঠন করা হয়েছে। জামায়াত নেতাকর্মীদের
বিরুদ্ধে প্রায় দু’হাজার মামলা দিয়ে ত্রাস
সৃষ্টি করেছে। তারা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
নির্দেশে সরকারি দলের
ক্যাডাররা সারা দেশে জামায়াত শিবির
অফিস, জামায়াতের নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে ও
অগ্নিসংযোগ করছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের
সন্ত্রাসীদের তান্ডবে দেশজুড়ে বিভীষিকার
রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষ মদদ
জোগাচ্ছে পুলিশ।
বক্তারা বলেন, গণতন্ত্রের নামাবলী গায়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ
প্রকৃতপক্ষে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন
প্রতিষ্ঠার মহড়া দিচ্ছে, আর সেই মহড়ার
প্রথম শিকারে পরিণত হয়েছে জামায়াতের
নেতাকর্মীরা। কিন্তু তারা এখানেই
থেমে থাকবে না। জামায়াতের উপর তারা জুলুম করে পার পেয়ে গেলে দেশের কোন
জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তি তাদের ছোবল
থেকে রক্ষা পাবে না। অতএব
তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবার এখনই
উপযুক্ত সময়। তারা সরকারের প্রতি ধিক্কার
জানিয়ে বলেন, বিপুল সংখ্যাগারষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায়
গিয়ে নিজেদের আচরণ
দ্বারা আওয়ামী আরো একবার প্রমাণ
করেছে যে ক্ষমতা হাতে পেলে তারা কিভাবে ক্ষমতার
অপব্যবহার করে। ১৯৭৩ সালে ক্ষমতায়
এসে তারা একই আচরণ করেছিল বলে ১৯৭৫ সালে যে চরম খেসারত
দিতে হয়েছে তা থেকে দলটির কান্ডারীদের
শিক্ষা হয়নি। নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য
তারা দেশকে অশান্ত ও নৈরাজ্যকর
পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যার
পরিণতি কিছুতেই শুভ হতে পারে না। তারা সরকারকে প্রতিহিংসাপরায়ণ
তা থেকে নিবৃত হয়ে সহনশীল হওয়ার পরামর্শ
দেন।
বিচারের নামে ট্রাইবুনালকে প্রহসন উল্লেখ
করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ট্রাইবুনালে জামায়াত
নেতাদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ আনা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত একটি অভিযোগও
সরাসরি প্রমাণ সরকার পক্ষ হাজির করতে পারেনি।
তারা আরো বলেন,
ট্রাইবুনালে মাওলানা সাঈদীর
পক্ষে সাক্ষী দিতে এসে সুখরঞ্জন বালী ডিবি কর্তৃক অপহরণ হলে আদালত নিরব
ভূমিকা পালন করছে।
এমনকি মাওলানা সাঈদীকে আত্মপক্ষ
সমর্থনের সুযোগ দিচ্ছে না। ট্রাইবুনাল
যুক্তি তর্কে পরাজিত হয়ে সাঈদীর
আইনজীবিদের হয়রানি করছে। এছাড়া বক্তারা অন্যান্য ইস্যু যেমন
পদ্মা সেতুর কেলেঙ্কারীতে জড়িত
দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠা এবং কেয়ারটেকার সরকারের
অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর
দাবী জানান। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা শ্লোগানে শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত
করে রাখেন।
No comments:
Post a Comment