ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের গল্প
দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
মাত্র এক মাস আগে ১৬তম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সু র্যা ডফোর্ড। আর হাসপাতাল থেকে ফেরার পর তিনি প্রথম যে বাক্যটি বলেছিলেন সেটা হলো, ‘আমি আরও একটা সন্তান চাই।’ ল্যাঙ্কাশায়ারের সু র্যা ডফোর্ডের পরিবার ভবিষ্যতে হয়তো আরও বড় আকার ধারণ করবে। কিন্তু এ মুহূর্তে তাঁরা পেয়ে গেছেন ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের স্বীকৃতি। আর এতগুলো সন্তান লালনপালনের জন্য সরকারি অনুদান বা ভাতার ওপর নির্ভর করেন না সু ও তাঁর স্বামী নোয়েল। নিজেদের বেকারি চালিয়েই বিশাল এই পরিবারের ভরনপোষণ স্বাচ্ছন্দ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের এই দম্পতি।
৩৭ বছর বয়সী সু র্যাচডফোর্ডকে ইংলিশ গণমাধ্যম আখ্যায়িত করেছে ‘সুপারমম’ নামে। ইতিমধ্যেই তিনি নয়টি পুত্র ও সাতটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মা হতে খুবই ভালো লাগে বলে ‘দ্য সান’কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন র্যা ডফোর্ড। তিনি বলেছেন, ‘আমি মা হতে খুবই ভালোবাসি। আমরা খুবই ভাগ্যবান। প্রতিবারই সব ছেলেমেয়েকে একসঙ্গে দেখার সময় আমি আবেগাপ্লুত হয়ে যাই। আমি জানি মানুষ আমাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। তাদের কেউ কেউ হয়তো ভাবে যে, আমরা এ ব্যাপারটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি না। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে আমরা সত্যিই এটা কতটা চাই। আর হয়তো আমরা খুব ভাগ্যবান বলেই এতগুলো বাচ্চাকাচ্চা পেয়েছি।’
বিশাল এই পরিবার নিয়ে তিনি যে বাড়িটায় থাকেন, তাতে আছে নয়টি শোবার ঘর। আর আছে একটি বিশালায়তনের রেফ্রিজারেটর। পুরো পরিবারের খাদ্যচাহিদা মেটানোর জন্য এই দম্পতির সপ্তাহে খরচ হয় ২৫০ ইউরো।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, খুবই অল্প বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন র্যা ডফোর্ড ও নোয়েল। তাঁদের সবচেয়ে বড় ছেলে ক্রিস্টোফারের বয়স এখন ২৩ বছর। এরপর সোফি (১৮) ও কোলের (১৭) জন্ম হওয়ার পর মাতৃত্বটা ভালো লেগে যায় র্যাযডফোর্ডের। আর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, আরও চালিয়ে যাবেন। পরিবারের আকার আরও বড় হয় জ্যাক (১৫) ও ড্যানিয়েলের (১৩) জন্মের পর। তখন তাঁরা চলে আসেন তাঁদের বর্তমান নয় ঘরবিশিষ্ট পুরোনো আমলের বড় বাড়িতে। এরপর একে একে তাঁদের পরিবারে অন্তর্ভুক্ত হয় লুক (১১), মিল্লে (১০), ক্যাটি (৯), জেমস (৮), অ্যালি (৭) ও অ্যামি। এরপর দুই বছরের বিরতির পর জন্ম হয় জোস (৪), ম্যাক্স (৩), টিলি মে (২) ও অস্কার (১)। আর সর্বশেষে গত মাসে র্যা ডফোর্ড জন্ম দিয়েছেন ক্যাসপার নামের ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান।
No comments:
Post a Comment