Friday, November 30, 2012

ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের গল্প

ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের গল্প



দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
মাত্র এক মাস আগে ১৬তম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সু র্যা ডফোর্ড। আর হাসপাতাল থেকে ফেরার পর তিনি প্রথম যে বাক্যটি বলেছিলেন সেটা হলো, ‘আমি আরও একটা সন্তান চাই।’ ল্যাঙ্কাশায়ারের সু র্যা ডফোর্ডের পরিবার ভবিষ্যতে হয়তো আরও বড় আকার ধারণ করবে। কিন্তু এ মুহূর্তে তাঁরা পেয়ে গেছেন ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের স্বীকৃতি। আর এতগুলো সন্তান লালনপালনের জন্য সরকারি অনুদান বা ভাতার ওপর নির্ভর করেন না সু ও তাঁর স্বামী নোয়েল। নিজেদের বেকারি চালিয়েই বিশাল এই পরিবারের ভরনপোষণ স্বাচ্ছন্দ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের এই দম্পতি।
৩৭ বছর বয়সী সু র্যাচডফোর্ডকে ইংলিশ গণমাধ্যম আখ্যায়িত করেছে ‘সুপারমম’ নামে। ইতিমধ্যেই তিনি নয়টি পুত্র ও সাতটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মা হতে খুবই ভালো লাগে বলে ‘দ্য সান’কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন র্যা ডফোর্ড। তিনি বলেছেন, ‘আমি মা হতে খুবই ভালোবাসি। আমরা খুবই ভাগ্যবান। প্রতিবারই সব ছেলেমেয়েকে একসঙ্গে দেখার সময় আমি আবেগাপ্লুত হয়ে যাই। আমি জানি মানুষ আমাদের দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। তাদের কেউ কেউ হয়তো ভাবে যে, আমরা এ ব্যাপারটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি না। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে আমরা সত্যিই এটা কতটা চাই। আর হয়তো আমরা খুব ভাগ্যবান বলেই এতগুলো বাচ্চাকাচ্চা পেয়েছি।’
বিশাল এই পরিবার নিয়ে তিনি যে বাড়িটায় থাকেন, তাতে আছে নয়টি শোবার ঘর। আর আছে একটি বিশালায়তনের রেফ্রিজারেটর। পুরো পরিবারের খাদ্যচাহিদা মেটানোর জন্য এই দম্পতির সপ্তাহে খরচ হয় ২৫০ ইউরো।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, খুবই অল্প বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন র্যা ডফোর্ড ও নোয়েল। তাঁদের সবচেয়ে বড় ছেলে ক্রিস্টোফারের বয়স এখন ২৩ বছর। এরপর সোফি (১৮) ও কোলের (১৭) জন্ম হওয়ার পর মাতৃত্বটা ভালো লেগে যায় র্যাযডফোর্ডের। আর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, আরও চালিয়ে যাবেন। পরিবারের আকার আরও বড় হয় জ্যাক (১৫) ও ড্যানিয়েলের (১৩) জন্মের পর। তখন তাঁরা চলে আসেন তাঁদের বর্তমান নয় ঘরবিশিষ্ট পুরোনো আমলের বড় বাড়িতে। এরপর একে একে তাঁদের পরিবারে অন্তর্ভুক্ত হয় লুক (১১), মিল্লে (১০), ক্যাটি (৯), জেমস (৮), অ্যালি (৭) ও অ্যামি। এরপর দুই বছরের বিরতির পর জন্ম হয় জোস (৪), ম্যাক্স (৩), টিলি মে (২) ও অস্কার (১)। আর সর্বশেষে গত মাসে র্যা ডফোর্ড জন্ম দিয়েছেন ক্যাসপার নামের ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান।

৯০ দিনে ২২০ তলা ভবন বানাবে চীন

৯০ দিনে ২২০ তলা ভবন বানাবে চীন

মাত্র ৯০ দিনেই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। স্কাই সিটি নামের ২২০ তলা এ ভবনের নির্মাণ শুরু হচ্ছে জানুয়রিতে। খবর টাইম ম্যাগাজিন-এর।

২,৭৪৯ ফিট উচু স্কাই সিটি টাওয়ারটিতে একটি স্কুল, একটি হাসপাতাল, ১৭টি হেলিপ্যাডসহ ৩০ হাজার মানুষের আবাসন ব্যবস্থা থাকবে।

বিল্ডিংটির নির্মাণকাজ করবে চীনের ব্রড সাসটেইনেবল বিল্ডিং কর্পোরেশন। মাত্র ৯০ দিনেই এ নির্মাণকাজ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। উচ্চতায় এটি হবে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার চেয়েও ৩৬ ফিট বেশি। এছাড়া নির্মাণ কাজেও বুর্জ খলিফার চেয়ে ২৪ ভাগের এক ভাগ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ব্রড।

কিভাবে এতো কমসময়ে এটি সম্ভব, তা জানিয়েছে ব্রড কর্পোরেশন। পদ্ধতিটি হচ্ছে- প্রিফ্যাব্রিকেশন। ব্রড জানিয়েছে, কনস্ট্রাকশন কাজ শুরুর আগেই অন্তত ৯৫ ভাগ কাজ সেরে ফেলা হবে।

সম্প্রতি চীনে ব্রড একই পদ্ধতিতে একটি ১৫ তলা হোটেল তৈরি করেছে মাত্র ২ দিনে।

স্কাই সিটির জন্য ব্রড পরিকল্পনা করছে নভেম্বরের শেষ দিকে ফাউন্ডেশন তৈরি করার। এরপর জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হয়ে মার্চে তা শেষ হবে।


বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/আজিম/ওএস/নভেম্বর ২৮/১২

পদ্মা সেতু সংক্রান্ত গোপন ডাইরিতে ঘুষের টাকার তথ্য : অন্ধকারে ছিলাম আলোর দেখা পেয়েছি : দুদক চেয়ারম্যান

পদ্মা সেতু সংক্রান্ত গোপন ডাইরিতে ঘুষের টাকার তথ্য : অন্ধকারে ছিলাম আলোর দেখা পেয়েছি : দুদক চেয়ারম্যান

ঢাকা টাইমস২৪ডটকম


পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে—এমন অভিযোগ ওঠার পর সর্বপ্রথম কানাডিয়ান পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে কানাডায় এসএনসি-লাভালিনের অফিস থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজকর্ম সংক্রান্ত একটি গোপন ডায়েরি জব্দ করে। ওই ডায়েরিতে ঘুষের টাকা দাবিসংক্রান্ত একটি তালিকা পাওয়া যায়। ওই তালিকায় প্রথমেই লেখা হয়, ‘দাবি অনুযায়ী তাদের কিছু দিতে হবে।’ পরে সিরিয়াল অনুযায়ী ক’জনের নাম লেখা হয়।
কানাডিয়ান নাগরিক রমেশের ডায়েরিতে দুর্নীতির তালিকায় প্রথমে সংক্ষিপ্তভাবে লেখা হয় তিন ব্যক্তির নাম। তারা হচ্ছেন—তত্কালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এর পর সম্পূর্ণরূপে লেখা হয় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও তার ভাই নিক্সন চৌধুরীর নাম। প্রথমে কানাডিয়ান পুলিশ তদন্তের কিছু তথ্য-উপাত্তসহ নামের তালিকাটি বিশ্বব্যাংকে পাঠায়। বিশ্বব্যাংক এরই মধ্যে ওই তালিকা দুদকে পাঠিয়েছে। এ তালিকার বাইরেও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পায় কমিশন। প্রাথমিক অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকায় উল্লেখ থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদও সম্পন্ন করেছে দুদক।
এ বিষয়ে সম্প্রতি দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা এতদিন অন্ধকারে ছিলাম, আলোর দেখা পেয়েছি। এছাড়া আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা এরই মধ্যে পদ্মা প্রকল্পে দুর্নীতিতে জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে বলেও জানান তিনি। গোলাম রহমান বলেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তিনি যে-ই হন না কেন, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ামাত্রই মামলা করা হবে বলেও জানান দুদক চেয়ারম্যান।
দুদক সূত্র জানায়, কানাডিয়ান পুলিশের জব্দ করা এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তা রমেশ শাহার ডায়েরিতে লিখে রাখা ঘুষের তালিকায় যে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে, সে তালিকা অনুযায়ী তদন্ত শেষে মামলা দায়েরের সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে তদন্ত কমিটি। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা কমিশনে প্রতিবেদন দেয়ামাত্রই এর সারসংক্ষেপ বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কাছে পাঠানো হবে এবং এরপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল ঢাকা সফর করে মসিউর ও আবুলসহ আরও ক’জনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের পরামর্শ দেয়। কেননা মসিউর পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইন্টিগ্রিটি অ্যাডভাইজার ছিলেন। তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন বলে জানায় বিশ্বব্যাংক প্যানেল। বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলটি কানাডিয়ান পুলিশের জব্দ করা ডায়েরির তথ্য অনুযায়ী তদন্তকাজ পরিচালনা করার জন্য দুদককে পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি তদন্ত শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার অনুরোধ জানায় এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ামাত্রই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিচারের আওতায় নেয়ার পরামর্শ দেয়।
বিশ্বব্যাংকের পরামর্শের ভিত্তিতে মসিউরকে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এসএনসি-লাভালিনের বাংলাদেশের সাব-এজেন্ট গোলাম মোস্তফার সঙ্গে রমেশের যোগাযোগ থাকতে পারে বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান মসিউর। এর পর গোলাম মোস্তফাকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আবুল হোসেন ও আবুল হাসানকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে এসএনসি-লাভালিনকে পরামর্শক হিসেবে কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে যাদের ঘুষ দিতে হবে—এমন কিছু ব্যক্তির নামের তালিকা গত জুলাই মাসে দুদক হাতে পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো একটি চিঠির সঙ্গে ওই তালিকাটি পাঠানো হয়। তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি নাম সংক্ষেপে ও কয়েকটি নাম পূর্ণাঙ্গরূপে লেখা রয়েছে। সংক্ষেপে যাদের নাম লেখা রয়েছে, তারা সবাই পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
জানা গেছে, কানাডায় এসএনসি-লাভালিনের তত্কালীন কর্মকর্তা রমেশ শাহা (কানাডিয়ান নাগরিক) ওই তালিকা তৈরি করেছেন। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কানাডায় রমেশ শাহা ও মো. ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল সেদেশের পুলিশ। এ মুহূর্তে তারা জামিনে মুক্ত আছেন। অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের লক্ষ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে কানাডিয়ান পুলিশের তদন্ত রিপোর্টটি চেয়েছে দুদক। শিগগিরই এ তদন্ত রিপোর্টও আসছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক আবদুুল্লাহ আল জাহিদের নেতৃত্বে নতুনভাবে গঠিত চার সদস্যের অনুসন্ধান ও তদন্ত টিম সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় প্রতিবেদন প্রণয়নের কাজ করছে। জানা গেছে, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা ২৯ জনকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজও শুরু করেছে টিমটি। গত সপ্তাহ থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
এর আগে দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলির নেতৃত্বে দু’সদস্যের তদন্ত টিম গত বছর সেপ্টেম্বরে সেতু ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। তাদের প্রতিবেদন থেকে সৈয়দ আবুল হোসেনকে অব্যাহতি দেয়ায় বিশ্বব্যাংক নাখোশ হয়। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউরকে ছুটিতে পাঠানো হয়।

ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম এমপি : বাংলাদেশের বর্তমান দুঃখ-দুর্দশার জন্য দায়ী দুদক ও বিচারালয়

ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম এমপি : বাংলাদেশের বর্তমান দুঃখ-দুর্দশার জন্য দায়ী দুদক ও বিচারালয়




লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এলডিপি প্রধান ও অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম এমপি বলেছেন, দেশ ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে মূল্যবোধ লোপ ও অবক্ষয় প্রাধান্য পাচ্ছে। অবৈধ সম্পদ উপার্জনে একটি বিশেষ ক্ষেত্র হিসেবে রাজনীতি হয়ে পড়েছে একটি লোভনীয় পেশা। দেশের জনগণ ভালো থাকুক, দেশের উন্নতি হোক—এ বিষয়গুলো এখনকার রাজনীতিতে নেই বললেই চলে।
গতকাল ড. অলি তার মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসভবনে আমার দেশকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাত্কারে বর্তমান সরকার, স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক, বিচার বিভাগসহ অন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সঠিকভাবে কাজ না করায় ব্যাপক সমালোচনা করেন। একইসঙ্গে তিনি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল আন্দোলনের যৌক্তিকতা এবং সংসদে না যাওয়ার কারণগুলোও বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন।
আজ এলডিপির তৃতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে এই কাউন্সিলে প্রধান অতিথি থাকবেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। ড. অলি আহমদ কাউন্সিলর উদ্বোধন করবেন। এলডিপির তৃতীয় কাউন্সিলর উপলক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে ড. অলির মতামত জানতে চাওয়া হয়।
বিশিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে বর্তমানে চলা দুঃখ-দুর্দশার জন্য দায়ী করেছেন দুদক ও বিচার বিভাগকে। তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রে এখন দলীয়করণ, আত্মীয়করণ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রাধান্য পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের সময় দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক ক্যালেঙ্কারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি এবং ডেসটিনি, যুবক ও ইউনিপেটু’র মতো কিছু গজিয়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোর টাকা আত্মসাত্ সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। প্রকৃত দোষীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। দুদকও এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না। তিনি মনে করেন, যতদিন পর্যন্ত দুদক, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ স্বাধীন ও সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে নিজ দায়িত্ব পালন করবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আশা দুরাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
ড. অলি তার দলের তৃতীয় কাউন্সিলকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন একাধিক কারণে। তিনি বলেন, এবারের কাউন্সিলে মূলত কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পাবে। এতে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হবে। নেতাকর্মীদের সরকারবিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের সেবা করার কথা বলা হবে। কারও দালালি বা তৈলমর্দন করে এলডিপিতে ভালো স্থানে অধিষ্ঠিত হওয়া যাবে না—এমন একটি মেসেজও দেয়া হবে। সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে জনগণকে সচেতন করা। ভোটের সময় সত্ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ভোট দেয়ার জন্য জনগণকে সচেতন করা। এছাড়াও গঠনতন্ত্রে ছোটখাটো সংশোধনী আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর দেশের এক সঙ্কটময় মুহূর্তে এই দলটির প্রতিষ্ঠা হয়। এই দলের লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শান্তি সুখের বাংলাদেশ গঠন।
প্রশ্ন : আপনাদের সংগঠন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি—এলডিপি’র আজ তৃতীয় কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতির এক অমানিশায় এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। এখন রাজনীতির অন্য এক সঙ্কটে এই সংগঠনের কাউন্সিল হচ্ছে। এই দুই অবস্থার তুলনা করে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি তুলনা করুন।
উত্তর : দেশ ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে মূল্যবোধ লোপ এবং অবক্ষয় প্রাধান্য পাচ্ছে। রাজনীতিবিদদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের এবং জনগণের উন্নয়নে কাজ করা। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বর্তমানে অবৈধ ধনসম্পদ উপার্জনে বিশেষ ক্ষেত্র হিসেবে রাজনীতি হয়ে পড়েছে লোভনীয় একটি পেশা। দেশের জনগণ ভালো থাকুক, দেশের উন্নতি হোক—এ বিষয়গুলো এখনকার রাজনীতিতে নেই বললেই চলে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত। ফলে তাদের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানের মন-মানসিকতাও তাদের নেই। এসব করতে সময়ও পাচ্ছে না বর্তমান সরকার। আমাদের সবাইকে মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ফলপ্রসূ ও কার্যকর পরিবর্তন আনতে হবে।
ক্ষমতায় আসা বা ক্ষমতা ধরে রাখা কোনোক্রমেই রাজনীতিবিদদের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। বর্তমানে দুঃখ-দুর্দশার জন্য দায়ী অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এবং বর্তমান বিচারব্যবস্থা। কারণ, সব ক্ষেত্রে এখন দলীয়করণ, আত্মীয়করণ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রাধান্য পাচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত একজন রাজনীতিবিদের বা কর্মকর্তার সততা, ন্যায়পরায়ণতা, যোগ্যতা ও দক্ষতার মানদণ্ডে নিয়োগপ্রাপ্ত হবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশের কোনো উন্নয়ন আশা করা যায় না। জনগণের মঙ্গলও সুদূর পরাহত। এর জন্য দেশের জনগণও কম দায়ী নয়। কারণ, নির্বাচন এলেই যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তির মূল্যায়ন না করে দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেয়। অনেক সময় কিছু টাকার বিনিময়ে নিজের ঈমান বিক্রি করে। আমাদের সবাইকে স্ব স্ব জায়গায় আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলের নির্দেশিত পথে কাজ করতে হবে। তাহলে সমস্যার সমাধান করা অসম্ভব কিছু নয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনগণই হলো অন্যতম প্রধান সম্পদ। তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, মানবতা, দেশপ্রেম ও নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। এ ব্যাপারে রাষ্ট্র উদাসীন। ফলে দিন দিন শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে, অনেক সময় বিপথগামী হচ্ছে। এখন টাকাই যেন সবকিছু। ধর্মের কোনো মূল্য আমাদের অনেকের কাছে অনুপস্থিত।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময় দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি এবং ডেসটিনি, যুবক ও ইউনিপেটু’র মতো কিছু গজিয়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাত্ সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। প্রকৃত দোষীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। কারণ, তারা সরকারের সঙ্গে জড়িত। পত্রিকায় পাওয়া তথ্য থেকে বিগত ৪ বছরে এক লাখ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলারের ওপরে বিদেশে পাচার হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক রাজনীতিবিদ বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ করেছে এবং ঘর-বাড়ি খরিদ করেছে। তাদের তালিকা প্রকাশ করতে সরকারের কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেছি, দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এর মূল কারণ হলো তাদের দলের এমপি ও রাজনীতিবিদরাই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
তিনি মনে করেন, দুদকও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না। দুদকের অনেকে রাজনৈতিক পরিচয়ে সেখানকার বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে। সুতরাং তাদের কাছে ন্যায়বিচার আশা করাটা অবাস্তব। যতদিন পর্যন্ত দুদক, নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ স্বাধীন ও সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে সার্বিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে শুধু কাগজে-কলেমেই গণতন্ত্র আছে। পক্ষান্তরে কাজ করছে স্বৈরতন্ত্র, প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। মিথ্যা কথা বলা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে জরুরিভিত্তিতে উত্তরণ একান্তই প্রয়োজন। দেশ কোনো ব্যক্তির নামে ইজারা দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে যুবসমাজকে ভালো-মন্দ বিচার করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং সঠিক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কাপুরুষের মতো ঘরে বসে থাকলে, শুধু নিজের কথা ভাবলে দেশ আরও ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।
প্রশ্ন : নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী জোট আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের অর্থ কি এই নয় যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনারা ব্যর্থ। এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা কতটুকু।
উত্তর : আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি না। কেউ কারও ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, রাজনীতিবিদের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস কোনোটাই ভালো নয়। মূলত ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের পক্ষ থেকে এ দাবি এসেছিল। বেগম জিয়া দেশের সংঘাত এড়ানোর জন্য এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাঘার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য রাজি হয়েছিলেন। দেশবাসী সবাই জানে আমরা সত্য বলি, কখনও মিথ্যা বলি না। মিথ্যাবাদীদের ওপর কখনও আস্থা রাখা যায় না। যতদিন পর্যন্ত সঠিক ব্যক্তির সঠিক জায়গায় পদায়ন হবে না, ততদিন পর্যন্ত এ সমস্যা থেকে বের হতে পারব না। আমাদের দেশকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের সবাইকে প্রতিদান দিতে হবে। এখানে আবেগ পরিহার করতে হবে। তাহলেই কেবল সত্, যোগ্য, দক্ষ, দেশপ্রেমিক উপযুক্ত ব্যক্তিরা দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবে। শুধু শিক্ষিত হলে হবে না। সেইসঙ্গে তার যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। অনেকের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।
প্রশ্ন : সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন শেষ হলো। কিন্তু বিরোধী দল বরাবরের মতো এবারের এই অধিবেশনেও যায়নি। বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখছেন?
উত্তর : সংসদে যাচ্ছি না একথা ঠিক নয়। প্রথম দিকে নিয়মিত সংসদে উপস্থিত ছিলাম। পরে দেখলাম এটা হলো একটা একদলীয় সরকারের সংসদ। এই সংসদে ভিন্নমত পোষণ করার কোনো অবকাশ নেই। উদাহরণস্বরূপ দেশে বর্তমান রাজনীতিবিদদের মধ্যে আমি একজন অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। আমাদের পরিবার বিগত প্রায় ৭০ বছর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি নিজেও একজন ছাত্র হিসেবে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। একজন তরুণ ক্যাপ্টেন হিসেবে একাত্তর সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিয়ে সর্বপ্রথম বিদ্রোহ করি। জীবনে কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত হইনি। প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হইনি। আমার মতে যা সত্য এবং বাস্তব তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি তোষামোদকারীরাই হলো একজন নেতার সবচেয়ে বড় শত্রু। সমালোচক নয়, একজন ভালো সমালোচক প্রকৃত বন্ধু। প্রায় ৫৮ বছর আমার কর্মজীবন। দেশকে এবং দেশের মানুষকে অনেককিছু দেয়ার আছে। অনেক এমপি সংসদের বিভিন্ন কমিটির সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত আছেন। বিরোধী দল থেকে আমাকেও পরিকল্পনা সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। আমি নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে আমাকে প্রদত্ত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমাকে ওই সংসদীয় কমিটির সভাপতির পদ থেকে সড়ে দাঁড়াতে হয়েছে। তাহলে বুঝতে হবে বর্তমান সরকার কতদূর প্রতিশোধপরায়ণ। রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু গালাগালি ছাড়া, অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করা ছাড়া দেশের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান হবে—এ বিষয়গুলোর ওপর সংসদে আলোচনা করার সুযোগ নেই। শুধু তৈলমর্দন করা ছাড়া মানুষের মঙ্গলের জন্য কিছুই বলা যায় না। সুতরাং এ ধরনের রাবারস্ট্যাম্প মার্কা সংসদে গিয়ে নিজকে বেইজ্জতি করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
প্রশ্ন : দেশের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা মূল্যায়ন করুন।
উত্তর : বিগত চার বছরে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য সরকারই দায়ী। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছে। পত্রপত্রিকায় তাদের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সাহস এই সরকারের নেই। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি ও সরকারের সাবেক কর্মকর্তা। হঠাত্ করে গত কদিন ধরে তিনি জামায়াত-শিবিরকে দমন করার জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছেন। মূলত আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তারই হাতে। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে তার চিন্তাভাবনা হবে স্বচ্ছ ও দলীয় দৃষ্টিকোণের ঊর্ধ্বে, যা এখনও পরিলক্ষিত হয়নি। বর্তমান সরকারের সময়ও প্রায় শেষ। আমার ধারণা মতে, দিন দিন দেশের অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। এর জন্য দায়ী সরকারের অহঙ্কারি এবং একগুঁয়েমি মনোভাব। ভালো কাজের জন্য আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান একটি উত্তম পন্থা।

সন্তানসহ পার্লামেন্টে!

সন্তানসহ পার্লামেন্টে! সন্তানসহ পার্লামেন্টে! সন্তানসহ পার্লামেন্টে!সন্তানসহ পার্লামেন্টে!
বিশ্বজুড়ে নারী আজ অর্থনৈতিক আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণও উল্লেখ করার মতো। তবে নারীকে শুধু তার কর্মক্ষেত্র নয়, সামাল দিতে হয় ঘর-সংসারও।
নারীর গৌরব আর স্বার্থকতার মানদণ্ড বিচার করা হয় সে কত ভালো একজন মা তা দিয়ে। এই মানদণ্ডে নিজেকে সফল করতে অনেক সময়
নারীকে বিসর্জন দিতে হয় নিজের ক্যারিয়ারও। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের নারীদের কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ এটি।
কর্মজীবী নারীর প্রথম ও প্রধান দুশ্চিন্তা কর্মক্ষেত্রে আসার আগে নিজের সন্তানকে কার কাছে রেখে আসবেন তা নিয়ে। আর এ চিন্তা থেকে অনেক মা নিজের স্বপ্নের ক্যারিয়ারও বিসর্জন দেন। তবে সমস্যাটি শুধু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মায়েদেরই নয়,বিশ্ব জুড়েই এ চিত্র একরকম।
যেমনটা দেখা গেল ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। মায়ের সুবাদে মাত্র ছয় সপ্তাহ বয়সেই সেখানে অংশগ্রহণের সুযোগ পেল ভিক্টোরিয়া। ইতালিয়ান মা লিসিয়া রনজুলি্লর কোলে চড়ে পার্লামেন্টে আসে ভিক্টোরিয়া। বর্তমানে ভিক্টোরিয়ার বয়স দুই বছর তিন মাস।
আর ছোট্ট ভিক্টোরিয়া এখন শুধু মায়ের সঙ্গে এসে বসেই থাকে না, সিদ্ধান্ত গ্রহণেও অংশগ্রহণ করে। পার্লামেন্টে কোনো বিল উত্থাপনের সময় মায়ের সঙ্গে হাত তুলে সমর্থনও জানায় ভিক্টোরিয়া। তার মা ইতালি সরকারের পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত পার্লামেন্ট সদস্য।
 
 
 
 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে থেকে সরকারি বাহিনী কর্তৃক আসামিপক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে থেকে সরকারি বাহিনী কর্তৃক আসামিপক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রকৃত তথ্য জানতে চেয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা। গতকাল সচিবালয়ে তিনি আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে সাক্ষী অপহরণের ওই ঘটনায় আমেরিকা সরকারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। এ ঘটনা নিয়ে প্রভাবশালী সাময়িকী দি ইকোনমিস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতিও আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। অন্যদিকে আইনমন্ত্রী বলেছেন, বিচার বিভাগ হচ্ছে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল। বিচার বিভাগের দীর্ঘসূত্রতা ও দুর্নীতি কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকার পুরনো হাইকোর্ট ভবনে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত ৫ নভেম্বর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ট্রাইব্যুনালের প্রধান ফটক থেকে বিপুলসংখ্যক আইনজীবী ও সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ডিবি পুলিশ টেনে-হিঁচড়ে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আইনজীবীরা তাত্ক্ষণিকভাবে এ ঘটনা ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাননি। তাকে এখনও আদালত কিংবা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ট্রাইব্যুনালের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত সাক্ষী অপহরণের এ ঘটনা নিয়ে দেশ-বিদেশে তোলপাড় চলছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ আদালত থেকে সরকারি বাহিনী কর্তৃক সাক্ষী অপহরণের এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। দেশি-বিদেশি কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনার তদন্ত ও অনুসন্ধান কার্যক্রমও শুরু করেছে।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর দফতরে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ড্যান মজীনা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সংস্কার এবং পুলিশ প্রশাসনের আচরণ ও সংস্কার নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার আধুনিকায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা দিতে আগ্রহী বলেও জানান। আইনের আধুনিক সংস্কারে সহায়তা এবং বিচারক, আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার আধুনিকায়নে সহযোগিতা দিতে চায়। বৈঠকে মার্কিন দূতাবাস ও আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের একপর্যায়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা দি ইকোনমিস্টসহ বিভিন্ন পত্রিকায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে সাক্ষী অপহরণ নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতি আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাক্ষী অপহরণের বিষয়ে ড্যান মজীনা আইনমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত তথ্যও জানতে চেয়েছেন। আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসে সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী সরকারি বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হন। এ ঘটনা নিয়ে প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টে ‘বাংলাদেশ : এভার মার্কইয়ার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাই হত্যার সঙ্গে সাঈদী জড়িত ছিলেন না—এ কথাই বলতে আদালতে এসেছিলেন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী অপহরণের ঘটনা নিয়ে আইনমন্ত্রী ও ড্যান মজীনার মধ্যকার আলোচনা প্রসঙ্গে তারা সাংবাদিকদের কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আমার দেশকে বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইকোনমিস্টসহ বিভিন্ন পত্রিকার সূত্র ধরে সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী অপহরণ সম্পর্কে মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন। বিষয়টি প্রসঙ্গক্রমে এসেছে। তবে আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, এটি আসামি পক্ষের আইনজীবীদের প্রচারণা। এর কোনো ভিত্তি নেই।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআর ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক অনুসরণ এবং মামলা দায়েরের পর নিষ্পত্তির প্রতিটি পর্যায়ে সময় নির্ধারণ করে দিয়ে দেওয়ানি কার্যবিধি আইন সংশোধন করা হয়েছে। এডিআর ব্যবস্থার বিধান রেখে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। গত বুধবার ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের প্রকাশিত ‘আইনের শাসন সূচক ২০১২’ শিরোনামের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৯৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের দেওয়ানি বিচারব্যবস্থা সবচেয়ে খারাপ। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সময় লাগা ও বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতিই এর জন্য দায়ী। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী দেওয়ানি বিচারব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিচার বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিচার বিভাগে কোনো দুর্নীতি থাকা উচিত নয়। বিচার বিভাগ হচ্ছে মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। তিনি বলেন, দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত জানতে বা জানাতে এখন কোনো বাধা নেই।
হাইকোর্টের একজন বিতর্কিত বিচারপতির দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুটি তথ্যপ্রমাণসহ দুটি অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কার্যালয় হয়ে আপনার দফতরে এসেছে। ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিচার বিভাগের দুর্নীতি দূর করা সম্ভব কি না? এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমরা হাতে পাইনি। তাছাড়া বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারভুক্তও নয়।

এশিয়ার নেতৃত্বে পরিবর্তন আসন্ন!

দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্বে পরিবর্তন আসন্ন!
সাইফুল সামিন | তারিখ: ৩০-১১-২০১২

ওপরে (বাঁয়ে) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, (ডানে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, নিচে (� ওপরে (বাঁয়ে) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, (ডানে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, নিচে (বাঁয়ে) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও (ডানে) আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশগুলোর বর্তমান নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে বলে বিভিন্ন বিশ্লেষক ও গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে।
বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনও সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে শেখ হাসিনা সরকারের পুনরায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নিয়ে দেশ-বিদেশের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত খোদ ভারতও এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকায় ক্ষমতা বদলের সম্ভাবনা দেখছে দিল্লি। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দিল্লির এ আশঙ্কার কথা গত ২৯ আগস্ট দেশটির প্রভাবশালী ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকা প্রকাশ করেছে।
এরই প্রেক্ষাপটে ঢাকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে দিল্লি। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দিল্লির আমন্ত্রণে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও খালেদা জিয়ার ভারত সফর আওয়ামী লীগে অস্বস্তি বাড়িয়েছে। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রভাবশালী দেশের সঙ্গে বর্তমান সরকারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। মহাজোট সরকারের সমালোচনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও বেশ সরব।
নির্ধারিত সময় অনুসরণ করলে ২০১৪ সালে ভারতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। দেশ পরিচালনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। একের পর এক কেলেঙ্কারি, সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন বিষয়ে শরিকদের সঙ্গে মতভেদসহ নানামুখী চাপের মধ্যে আছে মনমোহন সিংয়ের সরকার।
সম্প্রতি ইউপিএ জোট থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বেরিয়ে যাওয়ায় সরকার টিকিয়ে রাখতে মনমোহন সিং ও সোনিয়া গান্ধীকে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হচ্ছে। ভারতীয় কলাম লেখক তাবলিন সিংয়ের মতে, ১৯৭৭ সালের পর কংগ্রেসের অবস্থা এখনকার মতো শোচনীয় আর কখনো হয়নি। এমনকি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ইউপিএ সরকারের টিকে থাকার সক্ষমতা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। জোড়াতালি দিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেও কংগ্রেসের আবার ক্ষমতায় আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েই চলছে।
সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ ও শরিকদের মধ্যে ক্ষমতার টানাপোড়েনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করা নিয়ে আশঙ্কা নতুন কিছু নয়। এতে দেশটিতে আগাম সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা ২৭ নভেম্বর জানিয়েছেন, আগামী বছরের মে মাসে দেশটিতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে। এই প্রথম সরকারের কোনো দায়িত্বশীল মন্ত্রীর কাছ থেকে সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এল।
পিপিপির নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্তির খাতায় জমা হয়েছে জঙ্গিবাদের দামামা, রক্তের বন্যা, মৃত্যুর মিছিল, অপশাসনের ঝনঝনানি, লাগামহীন দুর্নীতি, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিভিন্ন জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট জারদারির গ্রহণযোগ্যতা এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপের ফল অনুযায়ী, ২০০৮ সালে জারদারির জনপ্রিয়তা ছিল ৬৪ শতাংশ। এখন তা কমে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অপরদিকে প্রতি ১০ জন পাকিস্তানির মধ্যে সাতজনই সাবেক ক্রিকেট তারকা ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খানের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। গত ৩০ জুন ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আফগানিস্তানে ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন এ তারিখ ঘোষণা করে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এ নির্বাচনে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাই আফগানিস্তানে নেতৃত্বের পরিবর্তন নিশ্চিত।
নেপালে গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক সংকট চলছে। বর্তমানে মাওবাদীদের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিয়ে দেশ চলছে। এ অবস্থায় আগামী বছরের এপ্রিল বা মে মাসে নতুন করে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ডাক দিয়েছে সরকার। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটতে পারে।

অনুমোদেনের অপেক্ষায় ২ লাখ ৭৩ হাজার আবেদন : যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ হাজার অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছে

অনুমোদেনের অপেক্ষায় ২ লাখ ৭৩ হাজার আবেদন : যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ হাজার অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছে

নিউজমিডিয়াবিডি.কম, নিউইয়র্ক
     
প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘোষিত ‘ডেফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালসে’র (ডিএসিএ) আওতায় এরই মধ্যে ৫০ হাজার আবেদনকারী বৈধতার অনুমোদন ও ওয়ার্ক পারমিট লাভ করেছে এবং আরও ২ লাখ ৭৩ হাজার আবেদন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। গত জুন মাসে ঘোষিত এ কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার অবৈধ ইমিগ্র্যান্টের সংখ্যা আনুমানিক ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩৩ জন। তারা বৈধতার জন্য আবেদন করতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস (ইউএসসিআইএস) সূত্রে জানা গেছে।
এক মাস আগে ইউএসসিআইএস এ ক্যাটাগরিতে দৈনিক প্রায় তিন হাজার করে আবেদন পেয়েছে। এখন সে হার উন্নীত হয়েছে দৈনিক ৪ হাজার ৮২৭-এ। আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ থাকায় এরই মধ্যে ১০ হাজার ১০১টি আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে আবেদন করার যোগ্য হিসেবে নির্ধারিত ৯ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি অবৈধ ইমিগ্র্যান্টসহ ডিএসিএ’র আওতায় মোট ১৮ লাখ ইমিগ্র্যান্ট আবেদন করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ প্রথম পর্যায়ে শুধু তারাই আবেদন করতে পারবে, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং যারা হাইস্কুলে আছে অথবা হাইস্কুল ডিপ্লোমা লাভ করেছে। দ্বিতীয় গ্রুপে রয়েছে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সীরা—যারা ভবিষ্যতে কোনো পর্যায়ে ডিএসিএ’র আওতায় পড়তে পারে। এছাড়া ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী আরও একটি গ্রুপ রয়েছে—যারা কোনো হাইস্কুলে নেই এবং হাইস্কুল ডিপ্লোমাও নেই। তারা জিইডি উত্তীর্ণ হলে ডিএসিএ’র আওতায় পড়তে পারে।
অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের মধ্যে যারা ডিএসিএ’র আওতায় পড়ছে, তাদের অধিকাংশই ‘ড্রিম অ্যাক্ট’ নামে বহুল আলোচিত ‘ডেভেলপমেন্ট, রিলিফ অ্যান্ড এডুকেশন ফর এলিয়েন মাইনরস’ (ডিআরইএএম) অ্যাক্টের শর্ত পূরণ করে ওবামা-ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় বৈধতার জন্য আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছে। ১৫ বছরের নিচে যারা, এখন আবেদন করতে পারছে না, তারা ওবামার অভিষেকের পর কম্প্রিহেনসিভ ইমিগ্রেশন প্ল্যানের যে বিল কংগ্রেসে আনা হবে বলে আলোচিত হচ্ছে, তার মধ্যে ওবামার ডিএসিএ অন্তর্ভুক্ত থাকলে ভবিষ্যতে আবেদন করার সুযোগ লাভ করতে পারেন।
ড্রিম অ্যাক্ট কংগ্রেসে পাস না হওয়ার কারণে ওবামাকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা প্রয়োগ করে শর্তসাপেক্ষে অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের বৈধতা দানের ঘোষণা দিতে হয়। অবশ্য তার এ ঘোষণা দেয়ার পেছনে ৬ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমিগ্র্যান্ট ভোটার, বিশেষ করে ল্যাটিনোদের কাছে টানার কৌশল বেশি কাজ করেছে। কারণ ওবামা প্রশাসনের চার বছরের মধ্যে তিন বছরে প্রায় ১২ লাখ অবৈধ ইমিগ্র্যান্টকে ডিপোর্ট করা হয়—যাদের বেশিরভাগই ছিল ল্যাটিনো। ভবিষ্যতেও যাতে ইমিগ্র্যান্টরা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষে থাকে, সেজন্য এখনই তিনি তার অভিষেকের পর কংগ্রেসে একটি ব্যাপকভিত্তিক ইমিগ্রেশন বিল আনার পক্ষে কথা বলতে শুরু করেছেন। রিপাবলিকানরাও নির্বাচনে ইমিগ্র্যান্টদের কাছে টানতে ইমিগ্রেশন বিল পাসে তাদের সদিচ্ছার কথা বলতে শুরু করেছে।

Wednesday, November 28, 2012

Nora Ali’s Interview on Bangladesh TV

Monica Yunus

Name : Monica Yunus
Father’s Name & Origin : Dr.Muhammad Yunus, Chittagong, Bangladesh
Citizenship : USA



Monica Yunus is quickly establishing herself as one of America’s most promising young sopranos. In the 2005-2006 season, Ms. Yunus returns to the Metropolitan Opera as Barbarina in Le nozze di Figaro and Poussette in Manon. She also debuts with Austin Lyric Opera as Zerlina in Don Giovanni and sings recitals in Weill Hall at Carnegie Hall in New York City and with the Los Angeles Da Camera under the auspices of The Marilyn Horne Foundation.

Recent reviewers have called her “especially winning” (New York Times) and “utterly captivating.” (Charleston City Paper) As Zerlina in Don Giovanni, she “provided the broadest spectrum of emotion and tone color" (The Post and Courier) and as Gilda in Rigoletto, she “gave us a performance that was quintessentially, Gilda. Her delivery was sweet, strong, smooth evocative of the moment she was singing and most importantly, flexible and dynamic.” (Opera Online) Of her performance as Oscar in Un Ballo in Maschera, she “showed a voice destined for super-stardom.” (Palm Beach Daily News)

In the 2003-2004 season, she made her critically acclaimed Metropolitan Opera debut as Barbarina in Le nozze di Figaro conducted by James Levine, and joined the company for productions of Die Frau Ohne Schatten, Le Rossignol, and The Queen of Spades. Following these performances she made her European operatic debut as Oscar in Un Ballo in Maschera with Mecklenburgisches Staatstheater Schwerin, where she also appeared with one day’s notice as Amor in Orfeo ed Euridice.

Highlights of her 2004-2005 season included a return to Palm Beach Opera as Gretel in Hansel and Gretel under the baton of Julius Rudel, Nashville Opera as Adele in Die Fledermaus, her first Gilda in Rigoletto with Granite State Opera, and her debut with Anchorage Opera as Zerlina in Don Giovanni. She also returned to Europe for a recital at Madrid’s Auditorio Nacional and sang the soprano soloist in Mahler’s Symphony No. 4 with New York City’s MetroChamber Orchestra.

A 2003 Sullivan Foundation Award winner, Ms. Yunus has already performed with numerous opera companies throughout North America, including Nashville Opera as Gretel in Hansel and Gretel, Virginia Opera and Palm Beach Opera as Oscar in Un Ballo in Maschera, Glimmerglass Opera as Fleurette in Offenbach’s Bluebeard, while a member of the Young American Artist Program, and Servilia in La Clemenza di Tito and Polly in Die Dreigroshenoper, both with Pittsburgh Opera Center .

Ms. Yunus’ many concert and recital appearances include Carnegie Hall’s Weill Recital Hall, Alice Tully Hall, New York’s Cooper-Hewitt Museum, Spain’s Manuel De Falla Hall, and Madrid’s Auditorio Nacional, with her majesty Queen Sofia in attendance. Her wide-ranging repertoire includes performances of Shostakovich’s Poems by Blok at The Phillips Gallery in Washington D.C., Delage’s Four Hindu Poems in Alice Tully Hall, and Mozart’s Exsultate Jubilate in New York’s Saint Anselm’s Church. In 2003-2004, she appeared twice with The New Haven Symphony Orchestra- a Broadway concert conducted by Gerald Steichen and Mozart’s Requiem conducted by artistic director Jung-ho Pak. Additionally, she portrayed Laurie in the world premiere recording of Copland’s The Tender Land Suite on the KOCH International Label conducted by Murry Sidlin.

Ms. Yunus has been a prize winner in numerous competitions, among them The Florida Grand Opera Competition, Palm Beach Opera Competition, the Lee Schaenen Foundation Award, and most recently The Mirjam Helin International Competition in Helsinki, Finland. She earned her bachelor’s and master’s degrees from The Juilliard School. Born in Chittagong, Bangladesh to Russian and Bangladeshi parents, Monica Yunus was raised in New Jersey.

Jawed Karim is a co-founder of the popular video sharing website You Tube.

Jawed Karim

CONCERNING JAWED KARIM :
Jawed Karim is a co-founder of the popular video sharing website You Tube.
Karim was born in Merseburg East Germany , in 1979 and moved to West Germany in 1982. His father, Naimul Karim, is a Bangladeshi researcher at 3M. His mother, Christine Karim, is a research assistant professor of biochemistry at the University of Minnesota .
Karim grew up in Germany , and his family moved to the United States in 1992. He graduated from Central High School ( Saint Paul , Minnesota ), and went on to attend the University of Illinois at Urbana-Champaign. He left campus prior to graduating to become an early employee at PayPal, but continued his coursework, earning his bachelor's degree in computer science in 2004.
EDUCATION:
M. S. Computer Science (2005) Stanford Univeristy.

B.S. Computer Science / Engineering (2004)
Univeristy of Illinois at Urbana Champaign
.

EXPERIENCE:
You Tube Co-founder 2005
You Tube is the 4th most popular website in the world and one of the fastest-growing websites in the history of the Internet. You Tube serves up over 200 million videos per day and received funding from Sequoia Capital.    
PayPal , an eBay company (Palo Alto, CA) Feb. 2000 - Mar. 2005
Staff Technical Architect, Architecture Team
As one of the earliest engineers at PayPal I designed and implemented many of its core components, including its real-time anti-fraud systems. My responsibilities as a member of the Architecture Team included re-architecting PayPal to scale it from 100,000 users in February of 2000 to 63 million users by early 2005. PayPal is the world's largest online payment service, processing $50 billion in payments annually.    
IBM ( Boston , MA ) Summer 1999
Intern, Internet Systems & Technology Division (first Extreme Blue Program)
Implemented a network client/server model featuring de-centralized servers with synchronized states.
Silicon Graphics Inc. (Mountain View, CA) Summer 1998
Intern, Advanced Graphics Division
Developed tools to process large 3D volume data sets for use at Los Alamos National Laboratory.
National Center for Supercomputing Applications ( Campaign , IL ) 1997-1999
Student Research Programmer, Symera Supercomputing System
Developed Windows applications to demonstrate the capabilities of a distributed computing environment.  University of Minnesota Supercomputing Institute ( Minneapolis , MN ) Summer 1997
Student Researcher, David D. Thomas Laboratory
Developed computational models of protein structures. Research results published in Biochemistry .  
 
PUBLICATIONS:
136th commencement speaker, University of Illinois , May 13th 2007 .
Invited speaker at University of Illinois Reflections | Projections Conference 2006: YouTube: From Concept to Hypergrowth .
Jawed Karim and Cuong Do, " Method of and apparatus for notifying a user of other users within an area of interest "
Filing Date: 12/19/2002 , Status: Patent Pending
Karim, C., Stamm, J., Karim, J., Jones, L., Thomas, D.. Cysteine Reactivity and Oligomeric Structure of Phospholamban and its mutants. Biochemistry 37:12074-12081 (September 1998).
Flanigan, P., Karim, J. 1998. NCSA Symera . Dr. Dobb's Journal, Distributed Computing (November 1998).
Karim, Jawed. 1998. A Windows 3D Model Viewer for OpenGL . Dr. Dobb's Journal, Graphics Programming (July 1998).
Karim, Jawed. 2000. A Win32 Network Crawler . Dr. Dobb's Journal, Communications and Networking (May 2000).
Karim, Jawed. 1998. Porting MS-DOS Graphics Applications . Linux Journal, Graphics and Multimedia (September 1998).
Invited speaker at University of Illinois Reflections | Projections Conference 1998: Practical Graphics Programming .
LANGUAGES
German (native), English.

Salman Khan, Founder Khan Academy

Salman Khan

Founder
Khan Academy

Biography:
Salman Amin 'Sal' Khan is an American educator and the founder of the Khan Academy, a free online education platform and nonprofit organization. From a small office in his home, Khan has produced over 3000 videos elucidating a wide spectrum of academic subjects, mainly focusing on mathematics and the sciences. As of March 2012, the Khan Academy channel on YouTube has attracted more than 300,000 subscribers. In 2012, American magazine Time named Salman Khan in its annual list of the 100 most influential people in the world: Time 100.
Khan was born in New Orleans, Louisiana. His father was from Barisal, Bangladesh. He was raised by his mother in New Orleans, where she had a series of jobs and businesses. He went to public schools, where, as he recalls, "a few classmates were fresh out of jail and others were bound for top universities". Salman Khan holds three degrees from the Massachusetts Institute of Technology: a BS in mathematics, in electrical engineering and computer science as well MS' in electrical engineering and computer science. He also holds an MBA from Harvard Business School.
Salman Khan worked as a hedge fund analyst before quitting in late 2009.
In late 2004, Khan began tutoring his cousin, Nadia, in mathematics over the internet using Yahoo!'s Doodle notepad. When other relatives and friends sought his tutoring, he decided it would be more practical and beneficial to distribute the tutorials on YouTube where he created an account on 16 November 2006. Their popularity on the video sharing website and the testimonials of appreciative students prompted Khan to quit his job as a hedge fund analyst in late 2009 to focus on developing his YouTube channel, 'Khan Academy', full-time.
His videos attracted on average more than 20,000 hits each. Students from around the world have been attracted to Khan's concise, practical, and relaxed teaching method.
Khan outlined his mission as to "accelerate learning for students of all ages. With this in mind, we want to share our content with whoever may find it useful." Khan also plans to extend his "free school" to cover topics such as English and history. Programs are being undertaken to use Khan's videos to teach those in isolated areas of Africa and Asia. He delineated his motives:
With so little effort on my own part, I can empower an unlimited amount of people for all time. I can't imagine a better use of my time.
Salman Khan has been featured on the The Colbert Report, PBS NewsHour, CNN, and National Public Radio. In 2009, the Khan Academy received the Microsoft Tech Award for education. In 2010, Google provided $2 million to support the creation of more courses and to enable the Khan Academy to translate its core library into the world's most widely spoken languages. In October 2010, Khan was tied for #34 in Fortune's annual "40 under 40", a list recognizing business's hottest rising stars. In March 2011, Salman Khan was invited to speak at TED by Bill Gates who claims to use the Khan Academy Exercise Software to teach his own children. In May 2011, Salman Khan appeared on The Colbert Report to talk in an interview about his teachings. He told the audience how he planned to use his software to revolutionize the field of education. Included in his interview was a montage of notable teaching moments from Khan's YouTube channel.
Khan has also been interviewed by journalist Charlie Rose, and news anchor Tom Brokaw.
Khan spoke at Bellarmine College Prep during TEDxSanJoseCA about the importance of education and the founding of Khan Academy. Khan is also scheduled to be the commencement speaker for Rice University's commencement exercises on May 12, 2012 as well as MIT's commencement on June 8, 2012.
He lives with his wife, who is a medical specialist in rheumatology and internal medicine, and their son and daughter in Mountain View, California.

Source: http://en.wikipedia.org/wiki/Salman_Khan_(educator)

Senator Hansen Clarke

Senator Hansen Clarke

Office Address: 715 Farnum Bldg.
Mailing Address: P.O. Box 30036
Lansing, MI 48909-7536
Toll Free Phone Number: 877-252-7537

Biography of Hansen Clarke
Hansen Clarke (born March 2, 1957 ) is a politician from the U.S. state of Michigan . He is a Democratic member of the Michigan Senate, representing the 1st District since 2003. Previously he was a member of the Michigan House of Representatives from 1991 through 1992, and from 1999 through 2002. He then served in the Michigan Senate, representing the 1st District from January 1, 2003 to January 3, 2011. Clarke is also the first U.S. Congressman of Bangladeshi descent.
Early life and education
Hansen Clarke was born in Detroit , Michigan to a Bangladeshi father and American mother. He grew up in the city's lower east side. His mother had to work as a crossing guard to try and make ends meet. Hansen's journey out of poverty began in the third grade when an observant school teacher recognized his artistic ability and urged his mother Thelma to provide him with lessons. Private lessons were out of the question on a crossing guard's salary. However, being a resourceful person, she was able to arrange for the Detroit Institute of Arts to pay for the lessons through a grant. From there, Clarke went on to high school at Cass Tech, and then was admitted to a prestigious east-coast prep school to complete his high school.
Hard work and innate artistic ability eventually lead to a scholarship offer from Cornell University . During his time there, he received the devastating news that his mother Thelma had died. "I felt that I was alone as a person," said Clarke. "I can see now how all of that impacted the person I became. That's why I'm so quick to protect other people. When I see someone alone and vulnerable I can relate to what they are going through
Clarke worked through that pain, and graduated with a degree in fine arts. However, while there, he became interested in politics when was troubled by how few minorities there were on campus. Concerned that the university might be moving away from providing need-based scholarships to disadvantaged students, he decided to run for the student seat on the Cornell University Board of Trustees. After beating out another political dynamo, Ann Coulter, he with served with great distinction throughout his senior year. His undergraduate success led to his membership in the Quill and Dagger society.
After his time at Cornell, Hansen Clarke decided to pursue a career in law. He was accepted into Georgetown Law School where he graduated in 1984 with a Juris Doctor.
CAREER
Hansen Clarke worked as chief of staff to U.S. Representative John Conyers, as well as in Wayne County during the administration of Edward McNamara.
Clarke was first elected to the Michigan State House of Representatives in 1990 and served one term before being defeated in the Democratic primary in 1992 by Joe Young Jr. In 1998 and 2000, Clarke was re-elected to the Michigan House.
Hansen Clarke was then elected to the Michigan Senate in 2002, defeating incumbent Senator Ray Murphy. After an unsuccessful mayoral bid in 2005, Senator Clarke was re-elected to his seat in the Senate in 2006.
POLITICS
Senator Clarke says he sees a disconnect between many Detroiters and their elected officials which he feels leads to a sense of powerlessness in much of the inner city community. "I want to inspire citizens that their government can help them. I know that sounds like rhetoric but I believe it." Senator Clarke serves as Minority Vice Chair of the Health Policy and Commerce and Tourism committees.
During his time in the Senate, Clarke has argued that voters need to hold their elected officials accountable, otherwise the problems of the inner city will not be properly addressed. "I tell my constituents that I want them to hold me accountable," says Clarke. "You don't normally see problems with blighted buildings or under-performing schools in the suburbs. That's because voters in the suburbs hold their elected officials accountable."
Another major issue the Senator has worked on is the divestment of the State of Michigan 's pension funds from the nation of Sudan . Ever since the genocide began in 2004, there has been an outcry to pull US assets out of the country. Seeing the continuing failure of the federal government to act, and seeing the continuing humanitarian crisis, Senator Clarke felt that it was time for the state of Michigan to act if the federal government would not. His legislation proposed in the State Senate, along with a similar bill in the House from Rep. Wheeler-Smith, would pull all monies from State pension funds out of companies that do business in the country of Sudan .
Name: Mr. Anwar Choudhury
BRITISH HIGH COMMISSIONER
"British of Bangladeshi origin"



Anwar Choudhury) is the Director of International Institutions at the Foreign & Commonwealth Office. He was a High Commissioner to Bangladesh, and was the first British Head of Mission to be of Bangladeshi origin. Although born in Sylhet Division, in north-eastern Bangladesh, he is a naturalised British citizen.

Anwar Choudhury (BSc, MBA) is Her Majesty’s High Commissioner to Bangladesh. Mr Choudhury has had a unique and distinguished career having served in British Industry, The Royal Air Force, The Ministry of Defence and The Cabinet Office. He is the first senior British Ambassador from a British Asian background and also one of the youngest to achieve this level of posting.

He started his career in Industry as a Design Engineer. This was followed by the Royal Air Force and the Ministry of Defence where he managed a large team of civilian scientists and senior military personnel. As Assistant Director, he was responsible for developing Ministry of Defence’s strategies and policies aimed to bring about the integration of Defence systems within the MOD, NATO and Allies.

Mr Choudhury then moved from the MOD to the Cabinet Office where he was Director of Policy in the Office of the e-Envoy. He was responsible for leading the vision and policy for UK Government’s ambition to become a leading knowledge economy and the best place for e-government. He left the Cabinet Office to join the Foreign and Commonwealth Office and initially worked on strategy and policy issues before taking up his posting as High Commissioner to Bangladesh in May 2004.

Mr Choudhury’s main interests are in policy for radical change in government and the potential of the information revolution for the developing world economies. On a personal note, he is married with two children (son aged 12, daughter aged 3). His hobbies include cricket, Bridge and an addiction for Bangladeshi cuisine.

Rushanara Ali MP

Rushanara Ali MP


Biography:
My story is a typical East End story. I grew up in Tower Hamlets, having moved to the UK from Bangladesh when I was seven years old. My family's migration is part of a long tradition of people who came here to build a better future for themselves and the people around them.

My achievements are the achievements of the teachers and youth workers at Mulberry School and Tower Hamlets College. It was their belief in me that gave me my passports to opportunity – a place at Oxford University and jobs in Parliament, the Institute for Public Policy Research, the Foreign and Commonwealth Office, the Home Office and now as an Associate Director of the Young Foundation in Bethnal Green. I know how to make change happen – I have experience of doing this at a grass roots level. I helped set up Tower Hamlets Summer University, which has benefited thousands of young people and cut youth crime. I helped develop Language Line, a telephone interpreting service to help people with language difficulties in cases of emergency. I was formerly a Governor of Tower Hamlets College where I studied and am now a Commissioner for the London Child Poverty Commission because I am passionate about protecting children and families from poverty, along with being a Trustee of the Paul Hamlyn Foundation – which supports people to realise their potential and have a better quality of life through education and the arts.
 
Source: Rushanara Ali

দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী সম্মান অর্জন করেছে।


দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী সম্মান অর্জন করেছে।

সমগ্র বিশ্বে কাজের অভিজ্ঞতা এক ধরনের গৌরবের অনুভূতির সৃষ্টি করেছে এবং তা দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পেশাদারিত্ব সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে।

ঢাকা থেকে খবর সাউথ এশিয়ার জন্য লিখেছেন কে আর চৌধুরী

মে 04, 2012
স্কোয়াড্রন লিডার সদরুল আহমেদ খান যুদ্ধ বিধ্বস্ত আইভরি কোস্টে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসাবে কাজ করতে পেরে ‘গর্বিত’, যেখানে সাধারন মানুষ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মুনামি বলে ডাকে , যার মানে হল “আমার বন্ধু”।
  • ২০১১ সালের জানুয়ারির ছবিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সৈন্যদের অস্ত্র সুসজ্জিত গাড়ির উপর চড়ে আইভরি কোস্টের আবিদজানে টহলরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ১৯৯০ সালের প্রথম দিকে শুরু হওয়া এ মিশনে বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশগ্রহনকারী সবচেয়ে বড় দেশ।[লাক জিনাগো/রয়টার্স]   ২০১১ সালের জানুয়ারির ছবিতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সৈন্যদের অস্ত্র সুসজ্জিত গাড়ির উপর চড়ে আইভরি কোস্টের আবিদজানে টহলরত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ১৯৯০ সালের প্রথম দিকে শুরু হওয়া এ মিশনে বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশগ্রহনকারী সবচেয়ে বড় দেশ।[লাক জিনাগো/রয়টার্স]

তার বাংলাদেশী সহ-সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মতো, যারা শান্তি রক্ষী হিসাবে কর্মরত আছেন, খান বলেন, তিনি তার সাধ্যমত চেষ্টা করেন ফ্রান্সের সাবেক এই উপনিবেশ, যা জাতিগত সংঘাতের কারনে কয়েক দশক ধরে অস্থির হয়ে আছে, সেখানকার বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে।
“মানুষ, লিঙ্গ বা বয়স ভেদে, আমাদের সেবাদানকারী গাড়ির পিছনে ছুটতে থাকে যখন আমরা অসামরিক এলাকাগুলিতে ঘুরে বেড়াই। তারা আমাদের মুনামি বলে ডাকে এবং খাবার, ঔষধ পত্র এবং অন্যান্য সহায়তা চায়”, ২০০৭ সালে সামরিক পুলিশ হিসাবে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে খান খবরকে বলছিলেন।
“এবং আমাদের সদস্যরা তাদের সাধ্যমত তাদেরকে সব ধরনের সহায়তা দেয়”।
শান্তিরক্ষীরা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে এবং দেশের গণতন্ত্রায়নে সাহায্য করছে
১৯৯০ সালের প্রথম থেকে, যথাক্রমে পাকিস্তান এবং ভারতকে পিছনে ফেলে ইউএন শান্তি রক্ষার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদানকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে। তাদের অর্থনৈতিক অবদানের সাথে সাথে শান্তিরক্ষার প্রচেষ্টা শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে দেশের স্থিতির ক্ষেত্রে আরো আন্তরিক করছে, এমনটাই বলেন নীতিনির্ধারক ও সাবেক সেনাবাহিনীর অফিসাররা।
“শান্তিরক্ষার কার্যক্রমগুলি অবশ্যই সেনাবাহিনীকে আরো পেশাদারী করেছে। এর জন্মলগ্ন থেকেই, সামরিক অভ্যূত্থান এবং অরাজকতা তৈরিতে সেনাবাহিনীকে জড়িত করার প্রয়াস ছিল”, খবরকে সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন।
“বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর সাথে মেশা এবং জাতিসংঘের আইনকানুনের মধ্যে থেকে কাজ করার ফলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখন আর অভ্যূত্থান আর পাল্টা অভ্যূত্থান করতে আগ্রহী নয়”, তিনি বলেন। “শান্তিরক্ষার কার্যক্রম বাংলাদেশ এবং সেনাবাহিনী উভয়কেই সাহায্য করেছে”।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ একমত পোষন করেন।
“ইউএন-এর আমলাতন্ত্রের সাথে কাজ করার মাধ্যমে সেনাবাহিনী হয়তোবা গণতন্ত্র রক্ষার ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি সৃষ্টির বিষয়টির সাথে পরিচিত হয়েছে। এই পরিচিতি দেশের জন্য বিশাল একটি গুরুত্ব বহন করবে”, তিনি উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেন গতমাসে বলেছেন যে শান্তিরক্ষীরা গত তিন বছরে দেশের জন্য ৭৫বিলিয়ন টাকা (৯১৭ মিলিয়ন ডলার) এনেছে।
খান শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ করেন আইভরিকোস্টে সাধারন মানুষ এবং নিরস্ত্র মানুষদের রক্ষা করার জন্য, যে দেশটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে এখন দুইভাগে বিভক্ত, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চল এবং সরকার চালিত দক্ষিন।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীদের উত্তর ও দক্ষিনের মধ্যস্থিত নিরাপদ অঞ্চলে জাতিসংঘ প্রনীত বিদ্রোহী ও সরকারী বাহিনীর মধ্যে শান্তিচুক্তি কার্যকর করার বিষয়ের উপর নিয়োজিত করা হয় নজর রাখার জন্য।
“বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা সবসময়, যে সব মানুষ আমাদের কাছে তাদের প্রয়োজনে আসত , তাদের প্রতি বন্ধুসুলভ। আমি সত্যিই খুবই গর্বিত। অনেক দেশ বাংলাদেশ সম্বন্ধে জানতে পারছে শান্তিরক্ষার কার্যক্রমে আমাদের আন্তরিক অবদানের কারনে”, বলেন আবিদজানে কর্মরত ব্লু-হেলমেট সেনার মর্যাদা পাওয়া সেনাবাহিনীর অফিসার।
“আমরা, শান্তিরক্ষীরা, বিদ্রোহী বাহিনীর দক্ষিনে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাজ করতাম এবং সরকারী বাহিনীর ক্ষেত্রেও একই কাজ করতাম। প্রায়ই তারা একে অন্যের এলাকায় ঢুকে মানুষজনদের হত্যা করতো”, স্কোয়াড্রন লিডার আশেক আহমেদ শাহরিয়ার, যিনি ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে শান্তিরক্ষী হিসাবে কাজ করেন, তিনি বলছিলেন।
“শান্তিরক্ষার কার্যক্রমগুলি সশস্ত্র লড়াই থেকে অনেক নিরীহ সাধারন মানুষের জীবন রক্ষা করতে সহায়তা করেছে”, নিরস্ত্র করার কার্যক্রমে তারাও স্থানীয় মানুষের সাথে কাজ করেছে, একথা যোগ করে বলেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী সব মিলিয়ে ১০,০০০ এরও বেশী বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী ৪৫টি কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত।
শাহরিয়ার বলেন, শান্তিরক্ষীরা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে বেতন ও খাদ্য ভাতা ছাড়াও মাসিক ১৩০০ ডলার পেয়ে থাকে। শান্তিরক্ষামূলক কর্মকাণ্ড দ্বারা অর্জিত অর্থ দেশের জন্য যেন এক ধরনের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে, যেখানে ১৬ কোটি মানুষের বাস্তব সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির কোন স্থান নেই।
জামিল ডি আহসান, যিনি একজন সাবেক মেজর জেনারেল এবং লিবিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত স্বীকার করে বলেন, শান্তিরক্ষার কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয় দেশ হিসাবে পরিচিত করেছে।
আহসান বলেন, “ শুরুতে, আমরা শান্তিরক্ষা অভিযানের জন্য আমাদের সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম, এই ভয়ও কাজ করছিলো যে তারা যখন ফিরে আসবে তখন বাহিনীতে যোগ দেয়ার পরিবর্তে ব্যবসায় জড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু তারা সত্যিই পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। ”
তিনি আরও বলেন, “ এই পারিশ্রমিক তাদের সামাজিক নিরাপত্তা তৈরি করে দিয়েছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউএন ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সাইদা মুনা তাসনিম, খবর কে বলেন যে, ঢাকা শুধুমাত্র টাকার জন্য সৈন্য পাঠিয়ে অবদান রাখছে না।
তাসনিম বলেন, “আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং শান্তি-কেন্দ্রিক পররাষ্ট্র নীতির দরুন, আমরা শান্তিরক্ষা এবং শান্তি গঠনে আমাদের সৈন্যদের মাধ্যমে সহযোগিতা করছি।”

বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০ উদ্যোক্তার তালিকায় বাংলাদেশের সুমাইয়া কাজী

বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০ উদ্যোক্তার তালিকায় বাংলাদেশের সুমাইয়া কাজী

বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রভাবশালী ৫০ উদ্যোক্তার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণী। নাম তাঁর সুমাইয়া কাজি। সম্প্রতি রয়টার্স ও ক্লাউট ওয়েবসাইট জগতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০ উদ্যোক্তার যে তালিকাটি প্রকাশ করে, সেখানে ১৬ নম্বরে আছেন সুমাইয়া।



প্রথম আলোর স্বপ্ন নিয়েতে প্রকাশিত সংবাদ কাজের কাজি সুমাইয়া

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও ক্লাউট সম্প্রতি বিশ্বের সেরা ৫০ উদ্যোক্তার যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সে তালিকায় ১৬ নম্বরে স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সুমাইয়া আন্দালিব কাজি। তবে ভাবার কারণ নেই, এটিই সুমাইয়ার সাফল্যের শুরু। সুমাইয়ার সাফল্যের শুরু বরং অনেক আগে, সেই ২০০৬ সালে। সে বছর বিজনেস উইক ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছিল অনূর্ধ্ব ২৫ বছর বয়সী সেরা উদ্যোক্তাদের এক তালিকা। সে তালিকাতেও সগৌরবে স্থান করে নেয়েছিলেন সুমাইয়া। পেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অভিনন্দন। এ ছাড়া একই বছর উইক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত বিশ্বসেরা ৭৫ নারী উদ্যোক্তার মধ্যেও ছিলেন তিনি। পেয়েছেন সিএনএনের ‘ইয়ং পারসন হু রকস’ এবং কালার লাইট ম্যাগাজিনের সেরা তরুণ উদ্যোক্তা পুরস্কার। কিন্তু সুমাইয়ার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প বেশ কয়েক বছর আগে থেকে। তখন ২০০৫ সাল। সুমাইয়া সবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং বিষয়ে উচ্চতর পড়ালেখা শেষ করে যোগ দিয়েছেন সানমাইক্রোসিস্টেমে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে। পাশাপাশি শুরু করেছেন ‘কালচারাল কানেক্ট ডট কম’ (টিসিসিসি) নামের একটি অনলাইন মিডিয়া প্রতিষ্ঠার কাজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি প্রকাশ করতে শুরু করেন সাপ্তাহিক ‘দ্য দেশি কানেক্ট’, ‘দ্য মিডলইস্ট কানেক্ট’, ‘দ্য লাতিন কানেক্ট’, ‘দি এশিয়া কানেক্ট’ ও ‘দি আফ্রিকান কানেক্ট’ নামের পাঁচটি অনলাইন ম্যাগাজিন। সময় গড়ায় আর সুমাইয়ার এ ম্যাগাজিনগুলোর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসব ম্যাগাজিনের রয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার।
তবে এর মাঝেই সীমায়িত নয় সুমাইয়ার জগৎ। নিজের কর্মজগৎ বিস্তৃত করতে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘সুমাজি ডট কম’ (www.sumazi.com)
নামের আরেকটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক মূলত সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে সহায়তা করে। অল্প সময়ের মধ্যে এই ওয়েবসাইট এতই জনপ্রিয় হয়েছে যে সুমাইয়াকে দুটি দেশের আটটি অঙ্গরাজ্যের ১৮ সিটিতে স্থাপন করতে হয়েছে আলাদা অফিস। ‘বাংলাদেশেও সুমাজি ডট কমের কার্যক্রম সম্প্রসারণের ইচ্ছা আছে আমার। আশা করছি, এর মাধ্যমে অলাভজনকভাবে শিক্ষা, দুর্যোগ, চাকরিপ্রাপ্তি ও বিভিন্ন পরামর্শের ক্ষেত্রে উপকৃত হবে অনেকেই।’ ইউনাইটেড নিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন সুমাইয়া।
শুরু থেকেই নিজের কাজের ওপর আস্থা থাকায় নিজের দলের সদস্যদেরও অনুপ্রাণিত করতে পেরেছেন সুমাইয়া। টেকক্রান্সের একটি কাজ দ্রুত এবং দারুণভাবে সম্পন্ন করার পর পেয়ে যান নিউজ এজেন্সি অমিদইয়ার নেটওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ড। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরামে আমন্ত্রিত হয়ে নারী উদ্যোক্তা বিষয়ে বক্তব্য দেন তিনি। এসব কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে মানবাধিকার, পরিবেশ, শিক্ষা, রক্তদানসহ নানা ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কাজের সঙ্গেও যুক্ত আছেন প্রায় ১০ বছর ধরে। প্রতি সপ্তাহে একদল উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীর পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসার আইডিয়ার বিষয়ে দিচ্ছেন পরামর্শ। এক সময়ে চাকরি করা প্রতিষ্ঠান সান মাইক্রোসিস্টেম সুমাইয়াকে ‘সারা বিশ্বের সেরা ২৫ স্বেচ্ছাসেবক’ তালিকার একজন নির্বাচিত করে। নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার শুরুতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিনজন কর্মী, যা বর্তমানে অর্ধশতাধিক হয়েছে। এখন স্বপ্ন দেখছেন আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।

২.
সুমাইয়া কাজির পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের ফেনী জেলায়। তবে জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। তবে কর্মসূত্রে এখন বসবাস করছেন ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোতে। বাবা ড. নিজাম উদ্দিন কাজি, মা মেরিনা কাজি। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সুমাইয়ার অবস্থান শীর্ষে। এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি সুমাইয়া। অবসর কাটে কীভাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কাজই আমার অবসর।’ আর কাজের প্রয়োজনেই ইতিমধ্যে আটবার বাংলাদেশে পা রেখেছেন সুমাইয়া। সর্বশেষ এসেছেন বছর দুয়েক আগে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।
‘আগামী দু-এক বছরের মধ্যে আবারও বাংলাদেশে আসব আমি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলব এ দেশের নারীদের সঙ্গে। তাদের আমার কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করতে চাই।’ বলেছেন সুমাইয়া কাজি ইউনাইটেড নিউজ টোয়েনটি ফোর ডট কমকে।
....জানলেন তো সুমাইয়া কাজিকে। এবার গলা ফাটিয়ে বলুন ‘শাবাশ বাংলাদেশ!’বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রভাবশালী ৫০ উদ্যোক্তার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণী। নাম তাঁর সুমাইয়া কাজি। সম্প্রতি রয়টার্স ও ক্লাউট ওয়েবসাইট জগতে সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০ উদ্যোক্তার যে তালিকাটি প্রকাশ করে, সেখানে ১৬ নম্বরে আছেন সুমাইয়া।

এ অঞ্চলের স্বার্থেই বাংলাদেশের সমৃদ্ধি প্রয়োজন


মনটেক সিং আহ্লুওয়ালিয়া মনটেক সিং আহ্লুওয়ালিয়া
বাংলাদেশ ভারতের ঘনিষ্ঠ ও সম্মানিত প্রতিবেশী। আমাদের রয়েছে শত শত বছরের অভিন্ন ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রামে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছি আমরা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের সঙ্গী হয়েছি। তার পর থেকে সব ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নতি ও প্রগতি লক্ষ করে এসেছি।
গত ৪০ বছরে বাংলাদেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনগণ বহুদলীয় গণতন্ত্রকে আলিঙ্গন করেছে, একটি শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম গড়ে তুলেছে, প্রসারিত করেছে উৎপাদনের নানা ক্ষেত্র, দৃঢ় করেছে তাদের অর্থনীতির ভিত্তি। অনেক দেশের সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বরে।
গত দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি বার্ষিক ৬ শতাংশের ওপরে বাড়তে থাকায় দেশটি এ অঞ্চলের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে দেশটি লক্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। বর্তমানে ৩৩ মিলিয়ন টনের বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন করে এ দেশ কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে এগিয়ে চলেছে। বস্ত্র খাতে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করে অন্যতম প্রধান তৈরি পোশাক নির্মাতা দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি তার চামড়া, সিরামিকস, পাট, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সামুদ্রিক খাদ্যশিল্পকে আধুনিকায়ন করেছে। জাহাজ নির্মাণের মতো নিত্যনতুন শিল্প খাত গড়ে উঠতে শুরু করেছে। দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এ দেশের ব্যাংকিং ও সেবা খাত।
তবে সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ সামাজিক ক্ষেত্রে সারা দুনিয়ার সামনে তার সাফল্যও তুলে ধরেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা একবাক্যে স্বীকার করেন যে নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, অপুষ্টি দূরীকরণ, উর্বরতার হার, জন্মনিরোধক ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণের মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সমপর্যায়ের অর্থনীতির দেশগুলোকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্যোগ ছিল ব্যাপকভাবে পরিবর্তনমুখী। এটা এখন স্পষ্ট যে, এসব বহু ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ভারতের বহু রাজ্যের তুলনায় ঢের বেশি অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০২১ সালের জন্য নির্ধারিত তার স্ব-আরোপিত লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে চলেছে।
ভারতের মতো বাংলাদেশেরও রয়েছে তরুণ জনগোষ্ঠীর সুবিধা। এরা একাত্তর-পরবর্তী প্রজন্ম, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে এরা রূপ দিতে তৈরি। এই গোষ্ঠী দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জোরালো প্রাণশক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে। এরা অনেক বেশি বৈশ্বিক, উচ্চশিক্ষিত এবং দেশের অগ্রগতিতে এদের স্বার্থ রয়েছে।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান একে ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। উপমহাদেশে উৎপাদন ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখার এবং বিশ্বের বৃহত্তম ও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর নৈকট্য থেকে এর লাভবান হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশকে বাস্তব সম্ভাবনা অর্জনে সক্ষম করে তুলতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছর আমরা ২৫টি ট্যারিফ লাইন বাদে ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত করার ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণচুক্তি বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছি, সীমান্ত-সংক্রান্ত বাকি বিষয়গুলো সমাধানের লক্ষ্যে ল্যান্ড বাউন্ডারি প্রটোকল স্বাক্ষর করেছি। আমরা বিভিন্ন বৃত্তি ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগ সম্প্রসারণ করেছি। আমরা স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন, কৃষি ও বিদ্যুৎ খাতের মতো ক্ষেত্রগুলোয়ও সহযোগিতা বাড়াচ্ছি।
বাংলাদেশ ভারতের মতোই দারিদ্র্য দূরীকরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এর ভূমি ও জলসম্পদ সীমিত। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে রয়েছে দেশটি। একই অঞ্চলের পরস্পরের সাফল্যের ভেতরে দেশ হিসেবে আমাদের স্বার্থও জড়িত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশ নিতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়ন উদ্যোগেও সহযোগিতা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কাজটি আমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এবং একই সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক ও আঞ্চলিক ভিত্তিতেও করব। এই সমগ্র অঞ্চলের স্বার্থেই এখন একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রয়োজন।
ড. মনটেক সিং আহ্লুওয়ালিয়া: ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান।

AmaderShomoy.Com (আমাদের সময়.কম)

AmaderShomoy.Com (আমাদের সময়.কম)

AmaderShomoy.Com (আমাদের সময়.কম)

AmaderShomoy.Com (আমাদের সময়.কম)

মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ‘সার্স’ জাতীয় ভাইরাস

মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ‘সার্স’ জাতীয় ভাইরাস


Sat, Nov 24th, 2012 3:24 pm BdST
 
লন্ডন, নভেম্বর ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপারেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মতোই আরেকটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সম্প্রতি সৌদি আরবে নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয় এবং কাতার ও সৌদিআরব মিলিয়ে অন্ততপক্ষে ছয়জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে সংস্থাটি।

কাতারে আক্রান্তদের মধ্যে একজন সম্প্রতি সৌদি আরব সফর করে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে নতুন ভাইরাসটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করেছিলো ডব্লিউএইচও।

নতুন এ ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সার্সের মতোই উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচণ্ড জ্বর, কাশি ও শ্বাসপ্রশ্বাসে জটিলতা।

২০০২ সালে চীনে সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে সারা পৃথিবীতে অন্ততপক্ষে আট হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং আক্রান্তদের এক দশমাংশ মারা যায়।

গত সেপ্টেম্বরে নতুন ভাইরাসটি সনাক্ত করে যুক্তরাজ্যের হেলথ প্রোটেকশন এজেন্সি। সাধারণত ফ্লু, বাতাসের মাধ্যমে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মধ্যদিয়ে এ ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

এ ভাইরাসের উৎস, ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া, মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রভৃতি বিষয়ে আরো গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/কিউএইচ/সিআর/১৫১৯ ঘ.

‘দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় তলানিতে বাংলাদেশ’

‘দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় তলানিতে বাংলাদেশ’


Wed, Nov 28th, 2012 6:16 pm BdST
 
লাবলু আনসার
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি

নিউ ইয়র্ক, নভেম্বর ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বিশ্বের ৯৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থা সবচেয়ে খারাপ বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের বুধবার প্রকাশিত ‘আইনের শাসন সূচক ২০১২’ শিরোনামের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রভাব রাখতে পারে এমন আটটি ক্ষেত্রের বেশিরভাগেই বাংলাদেশের অবস্থান খারাপ।

দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি উল্লেখ করে ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট জানায়, “মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সময় লাগা ও বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতিই এর জন্য দায়ী।”

সংস্থাটির তৃতীয়বারের মতো প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সরকারের প্রভাব সীমাবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে ৮৭তম, দুর্নীতির অনুপস্থিতিতে ৮৯তম, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৭২তম, মৌলিক অধিকারসমূহে ৮৭তম, সরকারের স্বচ্ছতায় ৮৯তম, আইনের প্রয়োগে ৯০তম, দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থায় ৯৭তম ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় ৮৩তম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাংলাদেশে সরকারের জবাবদিহিতার অবস্থা খুবই খারাপ। বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্থা ও আদালত চরম অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত।”

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পুলিশি হয়রানিও বাংলাদেশে একটি সমস্যা বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

তবে বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অপেক্ষকৃত ভালো বলে জানায় তারা। এক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম এবং স্বল্পোন্নত ২২টি দেশের মধ্যে অবস্থান নবম। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অপরাধের হার কম।

বিশ্বের ৯৭টি দেশ নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করার ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেন এমন ২৫ হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ ও ৯৭ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষের মতামত নেয়া হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে রয়েছে বলে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম এইচ নিউকম বলেন, ‘আইনের শাসনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি সফলতা অর্জনের বিষয়টি সবার জন্যই বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

“তবে আশার কথা হচ্ছে, সব দেশেই কিছু না কিছু অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা কোন দেশের কী অবস্থা তার সূচক প্রকাশ করছি দেশগুলোকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে নয়। এটি করা হচ্ছে দেশগুলোর সংশোধনের পথ সুগম করার অভিপ্রায়ে।”

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এএইচ/এসইউ/১৩০২ ঘ.

Tuesday, November 27, 2012

ঢাকার পোশাক কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলা ব্লগাররা৷

‘অনেকে এটাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করছেন'

ঢাকার পোশাক কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলা ব্লগাররা৷ তাদের ভাষায়, এধরনের ‘হত্যাকাণ্ড' রোধে কঠোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত৷
‘কাবাব যেখানে গার্মেন্টস শ্রমিক', আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন লাগার বিষয়টি ঠিক এই শিরোনামে ব্লগে প্রকাশ করেছেন মোঃ আশরাফ৷ তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টস ব্যবস্থাপক৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম ব্লগে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে আশরাফ লিখেছেন, ‘‘সাধারণত কাপড়ের আগুন দ্রুত ছড়ায় না, কিন্তু অন্ধকার ঘরে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে আগুন আসার আগেই অনেকে পদদলিত হয়ে মারা যায়৷ আর শ্রমিকদের চলাচলের পথগুলো খুবই সংকীর্ণ, যে পথ দিয়ে এক জনের বেশি চলাচল করা যায় না৷''
অগ্নিকাণ্ডের পর তাজরিন কারখানা
একই ব্লগ সাইটে ব্লগার কৌশিক আহমেদ এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন৷ তাজরিন কারখানা সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য তিনি যোগ করেছেন এই লেখায়৷ কৌশিক তাঁর নিবন্ধের একাংশে লিখেছেন, ‘‘তাজরিনে কতজন শ্রমিক কাজ করে এবং আগুন লাগার সময় তাদের মধ্যে কতজন কর্মরত ছিলো এসব তথ্য গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের কাছে নেই, যার জন্য কোনো নিখোঁজ সংবাদও নেই৷ যে শ্রমিকেরা এমন মৃত্যুকুপে ঢোকে তাদের তথ্য ওয়েব ডেটাবেসে থাকবে আশা করা খুবই অস্বাভাবিক৷''
শনিবার রাতে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে পোশাক কারখানায় আগুন লাগার পর এই বিষয়ে অসংখ্য নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন ব্লগাররা৷ বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগ সাইটে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে ‘দৃষ্টি আকর্ষণ' ব্যানারে প্রদর্শন করা হচ্ছে ‘সরেজমিন: যে ভাবে কয়লা বানানো হলো গার্মেন্টস শ্রমিকদের' শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী নিবন্ধ৷ আমার ব্লগে রীতা রায় মিঠু লিখেছেন, ‘নিশ্চিন্দিপুরের আকাশে-বাতাসে আশুরার মাতম!'
ব্লগার এবং সাংবাদিক রাফে সাদনান আদেল পেশাগত কারণেই অগ্নিকাণ্ডের পর একাধিকবার গিয়েছিলেন নিশ্চিন্তপুরে৷ ভস্মীভূত ভবনটি ঘুরে দেখেছেন তিনি৷ আদেল জানান, নিশ্চিন্তপুরে আগুন লাগার খবর মূলধারার গণমাধ্যমের পাশাপাশি ব্লগেও প্রকাশ হয়েছে অত্যন্ত দ্রুত৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যমের আগেই ব্লগের মাধ্যমে এই সংবাদটি আমরা পেয়েছি৷ এবং বিভিন্ন ধরনের সংবাদ আমরা সেখান থেকে পেয়েছি৷''
স্বজন হারানোর ব্যথা
আদেল জানান, এই বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগসাইটে আমরা অনেক ক্ষোভ দেখতে পেয়েছি৷ এই ক্ষোভ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ৷ এবং এই ক্ষোভের সঙ্গে শ্রমিকদের যে ক্ষোভ – শ্রমিকদের দেনাপাওয়া – সেই বিষয়গুলোও উঠে এসেছে৷
এখনো আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর প্রক্রিয়ায় থাকা পিপলসব্লগবিডি ডটকমের একজন নিয়মিত লেখক রাফে সাদনান আদেল৷ তাজরিন ফ্যাশনস'এ আগুন লাগার পর এই ব্লগে একাধিক লেখা প্রকাশ করেছেন তিনি৷ ভস্মীভূত কারখানাটি ঘুরে এসে ডয়চে ভেলেকে আদেল বলেন, ‘‘অনেকে এটাকে ‘হত্যাকাণ্ড' হিসেবে অভিহিত করছেন৷ কেননা সেখানে কোন ফায়ার এক্সিটের ব্যবস্থা নেই৷ এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার কোন উপায় কিন্তু এই ভবনটিতে ছিল না৷'
আদেল বলেন, ‘‘এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে হলে, পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করতে হবে৷ কারখানার অন্তত একটি সিঁড়ি ফায়ার এক্সিটের জন্য ব্যবহার করতে হবে এবং সেই সিঁড়িটি অবশ্যই ভবনের সামনের প্রধান রাস্তায় গিয়ে শেষ হতে হবে৷ তাজরিন কারখানায় যে দুটি সিঁড়ি ছিল, সেই দুটোকে যদি আমরা ফায়ার এক্সিট ধরি, সে'দুটো কিন্তু শেষ হয়েছে ভবনের নীচতলার গুদামে গিয়ে, যেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়৷''
পোশাক কারখানায় আগুন লাগার এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের শ্রোতা পাঠাকরাও৷ আমাদের আনুষ্ঠানিক ফেসবুক পাতায় মো. তৌহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘গার্মেন্টস শিল্পটা বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের কঠোর নীতিমালা প্রয়োগ প্রয়োজন৷ আর সঠিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন৷ আগুন লাগলে কী কী করণীয় তার বাস্তব জ্ঞান থাকতে হবে৷'' জিত এমকে লিখেছেন, ‘‘মালিকদের কঠোর আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করতে হবে৷''

পরিবেশদূষক কাতারে শুরু হলো বিশ্ব সম্মেলন


সমাজ জীবন

পরিবেশদূষক কাতারে শুরু হলো বিশ্ব সম্মেলন

পরিবেশ দূষণের জন্য বরাবরই সমালোচিত হতে হয় দেশটিকে৷ সেই কাতারে শুরু হয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে বিশ্ব সম্মেলন৷ এ উপলক্ষে দোহায় জড়ো হয়েছেন প্রায় দু‘শ দেশের প্রতিনিধি৷
যেসব দেশের বাতাসে সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ছড়ায় কাতার তাদের অন্যতম৷ দেশটির আয়ের প্রধান উৎস অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস৷ গ্রীষ্মে সেখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে যায়৷ ফলে প্রতিটি ঘর, অফিস, কল-কারখানায় এয়ার কন্ডিশনার এবং রেফ্রিজারেটর রাখতেই হয়৷ এসব তথ্যই বলে দিচ্ছে, কাতার প্রাকৃতিক কারণে প্রতি মুহূর্তে পরিবেশ দূষণে ভূমিকা রাখছে, যতটা সম্ভব পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠার কোনো উদ্যোগ এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি দেশটিতে৷
এ সব কারণে দোহার পরিবেশ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজক হওয়াকে বাঁকা চোখে দেখেছেন অনেকেই, এখনো দেখছেন৷ কিন্তু বাস্তবতা হলো, গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানেই ঠিক হয়ে যায় পরের পর্বের, অর্থাৎ এবারের আয়োজক হবে দোহা৷ দক্ষিণ কোরিয়াও চেয়েছিল আয়োজক হতে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সৌলকে হারিয়ে কাতারের রাজধানীই পেয়ে যায় এ সুযোগ৷ সোমবার শুরু হয়েছে এ সম্মেলন, চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত৷
দোহা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটি ছবি
সম্মেলন আয়োজনের সুযোগ পাওয়ার পর একটা জায়গায় পরিবর্তন এসেছে ঠিকই কাতারে৷ পরিবেশ বিষয়ক খবর গুরুত্ব পাচ্ছে সে দেশে৷ ‘‘বাইসাইকেল চালকদের দেশ হতে চায় কাতার '', ‘‘কংগ্রেস সেন্টার চলছে সৌর শক্তিতে '' – এমন শিরোনাম পড়ে খুশি হতে পারছেন পরিবেশবাদীরা৷ দেশটিতে এখনো সেই অর্থে কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই৷ শহরে বাসে যাতায়াতের কথা শুধু স্বপ্নেই ভাবা যায়৷ সে দেশের অলি-গলিতে সাইকেল দেখা যাবে শত শত – উষ্ণায়নের আতঙ্ক ক্রমশ বড় হয়ে ওঠার এ সময়ে এমন সুস্বপ্নে কে না খুশি হবেন, বলুন!
কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি যে এতটা আশাপ্রদ নয় সেটা মনে করিয়ে দিলেন জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স-এর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গিডো স্টাইনব্যার্গ৷ তিনি জানালেন, পরিবেশ বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজক হলেও কাতারের প্রচার মাধ্যম এখনো এ বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি৷ বড় বড় শিরোনামের যত খবর তার সবই শোভা পাচ্ছে শুধু সম্মেলন আয়োজকদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে!
গিডো স্টাইনব্যার্গ খুব হতাশা নিয়েই লক্ষ্য করছেন, ‘‘কাতারের রাজনীতিতে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়টির কোনো ভূমিকাই নেই৷'' ওয়ায়েল হমাইদানও তাঁর সঙ্গে একমত৷ লেবাননের ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সিএএন-এর পরিচালক হমাইদান জানালেন, এখন তো তবু কেউ কেউ একটু ভাবছেন, কিন্তু ২০১২-র এই বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজক হওয়ার কথা ভাবার আগে পরিবেশ নিয়ে কাতারের রাজনীতিবিদ বা সাধারণ মানুষ বিন্দুমাত্রও মাথা ঘামাননি৷
তাই বলে সম্মেলন শুরু হয়ে যাবার পরও কি সারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা একটি বিষয়ের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা সম্ভব বা উচিত? উষ্ণায়ন কীভাবে কমানো যায়, দরিদ্র দেশগুলোকে কীভাবে এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী করে তোলা যায়, কার্বন নিঃসরণের ক্ষতি ধনী ও দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে ভাগাভাগি করে নিতে পারে, ২০১৫ সাল থেকে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে নতুন চুক্তি কার্যকর করা যায় কিনা – এ সবের তো মীমাংসা হওয়া জরুরি৷
ইতিবাচক পরিবর্তন কাতারের জন্যও কিন্তু সুফল বয়ে আনবে৷ দেশটি যে প্রচুর প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করে- এই তথ্য মনে করিয়ে দিয়ে হমাইদান বললেন, ‘‘পরিবেশ সংরক্ষণে কঠিন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলে কয়লার ব্যবহার কমবে আর গ্যাসের ব্যবহার বাড়বে বলে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে৷ কয়লার চেয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসে তো ৪০ ভাগ কার্বন কম থাকে, সুতরাং এটা হবেই৷''