‘প্রতিশোধমূলক’ বসতি সম্প্রসারণের পথে ইসরায়েল
|
||||
|
শুক্রবার ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। জেরুজালেমের পূর্বদিকের লম্বালম্বি একটি ভূখণ্ডও এই আবাসন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে জেরুজালেম শহরের মূল অংশ থেকে পশ্চিম তীর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, ‘পবিত্র’ শহর জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ মর্যাদার ঘোর বিরোধিতাকারী ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বসতি সম্প্রসারণের এ পরিকল্পনাকে ‘হঠকারী’ বলে বর্ণনা করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রক্ষণশীল সরকার তিন হাজার বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। অনুমতির পাশাপাশি সরকার জেরুজালেমের মালে আদুমিন ও ই১ এলাকায় আবাসিক স্থাপনার জন্য কয়েক হাজার নতুন ক্ষেত্র তৈরির পরিকল্পনার আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের চাপে ইসরায়েল ই১ এলাকায় এর সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। এলাকাটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নজরদারীর মধ্যে আছে। ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিস্তারিত সম্পর্কে ওই কর্মকর্তা আর কিছু জানাননি। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে ‘পর্যবেক্ষক অঞ্চল’ থেকে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ করার জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের নিদর্শন হিসেবে বসতি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা ভূখণ্ডের ওপর ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ মালিকানার দাবী মেনে নিয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিশ্ব সংস্থাটির এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা ব্যাহত করবে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এবি/সিআর/১১৪৩ ঘ. |
|
No comments:
Post a Comment