ভিসা ব্যবস্থার সহজীকরণ নতুন যুগের সূচনা হিসেবে সমাদৃত হয়েছে
ভারতীয় ও পাকিস্তানিরা একে অপরের দেশে ভ্রমণের অনেক কারণ রয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত বিধি-নিষেধ ও লাল ফিতার দৌরাত্মের কারণে এই সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হতো ৷ এটা এখন বদলে যাওয়ার পথে রয়েছে ৷নয়া দিল্লি থেকে লিখেছেন উদয়ন নাম্বুদিরি
ডিসেম্বর 19, 2012
দেশভাগের পর থেকে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ভারত ও পাকিস্তানের
নাগরিকরা এখন অনেক সহজে একে অপরের দেশে ভ্রমণ করতে পারবে, এজন্য একটি নতুন
ভিসা ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে
বাস্তবায়ন করা হবে ৷ এই পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলটি আরো
সহজে যাতায়াতের ও উত্তেজনা প্রশমনের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে আশা
জাগিয়ে তুলেছে, যার ফলে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যবে ৷
রবিবার (১৬ই ডিসেম্বর) নয়া দিল্লিতে পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেন, “শান্তি ও বন্ধুত্বের জন্য ব্যাপক চাহিদা রয়েছে৷ চলুন আমরা এই নতুন পরিবেশের সুযোগ গ্রহণ করি”৷ ভিসা ব্যবস্থা সহজ করার চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্যতিনি নয়া দিল্লিতে ছিলেন৷ তার এই সফরের সময়, তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন৷
ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণ কয়েকটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ৷ এই নতুন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে দলগত ভিসা ও তীর্থযাত্রীদের জন্য ভিসা ব্যবস্থা, ব্যবসায়ী ভ্রমণকারীদের জন্য বিধি-নিষেধ সহজ করা এবং ৬৫ বছর ও তারচেয়ে বেশি বয়সী ভ্রমণকারীদের জন্য আগমনী বন্দরে ভিসা নেয়ার ব্যবস্থা রাখা ৷
ভ্রমণ ও যোগাযোগের জন্য সুযোগ বৃদ্ধির এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানানোর জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের জনগণেরই কারণ রয়েছে ৷ এই দুইটি দেশের গভীর ঐতিহাসিক সংযোগ এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা সাম্প্রদায়িক সীমারেখা ও জাতীয় সীমান্তকে ছাড়িয়ে যায় ৷
সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী যশোবন্ত সিং খবর দক্ষিণ এশিয়াকে বলেন, “উভয় দেশেই পর্যটনের জন্য ধর্ম একটি বড় কারণ”৷ সিং বলেন, “হিন্দুরা হিংলাজে অবস্থিত সতী দেবির মন্দিরে যাওয়ার জন্য আকুল আকাঙ্খা অনুভব করেছে যেখানে ১৯৪৭ সালের পর থেকে তারা আর যেতে পারেনি ৷ অন্যদিকে, শিখদের অনেকগুলো বিখ্যাত গুরুদুয়ারা (মন্দির) আছে যেগুলো দেখতে যাওয়া তাদের জন্য সম্ভব হয়ে উঠবে”৷
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মুসলমানদের জন্য সম্ভাবনার কোনো শেষ নেই - দিল্লির জামে মসজিদ, আজমিরের গরীব নেওয়াজ মাজার এবং শত শত স্মৃতিস্তম্ভ ও সমাধি রয়েছে”৷
তবে, এখন পর্যন্ত সীমান্তের অপর পারে ভ্রমণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত রয়েছে ৷
নয়া দিল্লির অশোক ট্রাভেলসের পরিচালক মানিশ শেঠি খবরকে বলেন, “বর্তমানে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পর্যটকদের যাতায়াত খুবই সামান্য কারণ আন্তরিকতাহীন সম্পর্ক মানুষের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি করেছে ৷ সেই সাথে, ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন৷ কিন্তু সহজীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর, আর কোনো বাধা থাকবে না”৷
ভারতের সাবেক পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুলতান আহমেদ আশা করেন ভিসা ব্যবস্থার এই পরিবর্তন ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ৷
“আমরা একটা খসড়া হিসাব করেছি যে প্রথম তিন বছরে ২০ থেকে ৪০ লক্ষ পর্যটক উভয় দেশে যাতায়াত করবে,” খবরকে বলেছেন তিনি ৷ “এর ফলে উভয় দেশের প্রচুর রাজস্ব আয় হবে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে৷ এটাই হবে সংঘাতের বিরুদ্ধে সেরা বীমা”৷
মালিক যখন দিল্লিতে ছিলেন, তখন ভারত ও পাকিস্তান আরো তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, এগুলো ছিল শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে, মান নিয়ন্ত্রণ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত অসন্তোষ মোকাবেলা সম্পর্কিত৷ পাকিস্তান ও ভারত উভয়ে এখন যথাক্রমে পাকিস্তান মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (পিকিউসিএ) ও ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) এর মানদন্ডকে স্বীকৃতি দেবে৷
২০-২১ সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সচিবদের বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তিগুলো গৃহীত হয়৷ মালিকের মতে, পাকিস্তান এখন পাকিস্তানি ভূখন্ডের মধ্য দিয়ে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে স্থলপথে বাণিজ্যের সুযোগ খুলে দেয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি বিবেচনা করছে৷
তার সফরের সময় তিনি বলেন, “মাদক পাচারকারীদের দ্বারা এই রুটের সুযোগ নেয়ার সম্ভাবনা আমরা বন্ধ করে দিচ্ছি এবং ব্যবধান কমে আসার সাথে সাথে ভারতীয় পণ্যসামগ্রী পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে যেতে পারবে”৷
রবিবার (১৬ই ডিসেম্বর) নয়া দিল্লিতে পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেন, “শান্তি ও বন্ধুত্বের জন্য ব্যাপক চাহিদা রয়েছে৷ চলুন আমরা এই নতুন পরিবেশের সুযোগ গ্রহণ করি”৷ ভিসা ব্যবস্থা সহজ করার চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্যতিনি নয়া দিল্লিতে ছিলেন৷ তার এই সফরের সময়, তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন৷
ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণ কয়েকটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ৷ এই নতুন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে দলগত ভিসা ও তীর্থযাত্রীদের জন্য ভিসা ব্যবস্থা, ব্যবসায়ী ভ্রমণকারীদের জন্য বিধি-নিষেধ সহজ করা এবং ৬৫ বছর ও তারচেয়ে বেশি বয়সী ভ্রমণকারীদের জন্য আগমনী বন্দরে ভিসা নেয়ার ব্যবস্থা রাখা ৷
ভ্রমণ ও যোগাযোগের জন্য সুযোগ বৃদ্ধির এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানানোর জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের জনগণেরই কারণ রয়েছে ৷ এই দুইটি দেশের গভীর ঐতিহাসিক সংযোগ এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা সাম্প্রদায়িক সীমারেখা ও জাতীয় সীমান্তকে ছাড়িয়ে যায় ৷
সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী যশোবন্ত সিং খবর দক্ষিণ এশিয়াকে বলেন, “উভয় দেশেই পর্যটনের জন্য ধর্ম একটি বড় কারণ”৷ সিং বলেন, “হিন্দুরা হিংলাজে অবস্থিত সতী দেবির মন্দিরে যাওয়ার জন্য আকুল আকাঙ্খা অনুভব করেছে যেখানে ১৯৪৭ সালের পর থেকে তারা আর যেতে পারেনি ৷ অন্যদিকে, শিখদের অনেকগুলো বিখ্যাত গুরুদুয়ারা (মন্দির) আছে যেগুলো দেখতে যাওয়া তাদের জন্য সম্ভব হয়ে উঠবে”৷
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মুসলমানদের জন্য সম্ভাবনার কোনো শেষ নেই - দিল্লির জামে মসজিদ, আজমিরের গরীব নেওয়াজ মাজার এবং শত শত স্মৃতিস্তম্ভ ও সমাধি রয়েছে”৷
তবে, এখন পর্যন্ত সীমান্তের অপর পারে ভ্রমণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত রয়েছে ৷
নয়া দিল্লির অশোক ট্রাভেলসের পরিচালক মানিশ শেঠি খবরকে বলেন, “বর্তমানে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পর্যটকদের যাতায়াত খুবই সামান্য কারণ আন্তরিকতাহীন সম্পর্ক মানুষের মধ্যে মানসিক দূরত্ব তৈরি করেছে ৷ সেই সাথে, ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন৷ কিন্তু সহজীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর, আর কোনো বাধা থাকবে না”৷
ভারতের সাবেক পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুলতান আহমেদ আশা করেন ভিসা ব্যবস্থার এই পরিবর্তন ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ৷
“আমরা একটা খসড়া হিসাব করেছি যে প্রথম তিন বছরে ২০ থেকে ৪০ লক্ষ পর্যটক উভয় দেশে যাতায়াত করবে,” খবরকে বলেছেন তিনি ৷ “এর ফলে উভয় দেশের প্রচুর রাজস্ব আয় হবে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে৷ এটাই হবে সংঘাতের বিরুদ্ধে সেরা বীমা”৷
মালিক যখন দিল্লিতে ছিলেন, তখন ভারত ও পাকিস্তান আরো তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, এগুলো ছিল শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে, মান নিয়ন্ত্রণ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত অসন্তোষ মোকাবেলা সম্পর্কিত৷ পাকিস্তান ও ভারত উভয়ে এখন যথাক্রমে পাকিস্তান মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (পিকিউসিএ) ও ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) এর মানদন্ডকে স্বীকৃতি দেবে৷
২০-২১ সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সচিবদের বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তিগুলো গৃহীত হয়৷ মালিকের মতে, পাকিস্তান এখন পাকিস্তানি ভূখন্ডের মধ্য দিয়ে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে স্থলপথে বাণিজ্যের সুযোগ খুলে দেয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি বিবেচনা করছে৷
তার সফরের সময় তিনি বলেন, “মাদক পাচারকারীদের দ্বারা এই রুটের সুযোগ নেয়ার সম্ভাবনা আমরা বন্ধ করে দিচ্ছি এবং ব্যবধান কমে আসার সাথে সাথে ভারতীয় পণ্যসামগ্রী পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে যেতে পারবে”৷
No comments:
Post a Comment