Thursday, 22 November 2012 11:46:17 AM
জানুয়ারিতেই ৩০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী চায় মালয়েশিয়া
আগামী ২৬ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে এই চাহিদাপত্র বাংলাদেশকে দেবে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সেখানকার প্লান্টেশান (কৃষি), ফার্নিচার শিল্পসহ আরো বেশ কয়েকটি উৎপাদনশীল খাতে কর্মী সংকট চলছে। যে কারণে দেশটির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে তাদের কাঙ্খিত সাফল্য আসছে না। তাই তারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায়। কারণ, বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজে খুব ভাল। তারা নিয়মিত কর্মঘন্টার বাইরে অতিরিক্ত সময় কাজ করেন। সাধারণত অন্যদেশের শ্রমিকরা এ ক্ষেত্রে গরিমসি করে।
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় চার বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ আছে। দীর্ঘ কূটনৈতিক যোগাযোগের পর এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে জানা গেছে,
জেলা কোটা অনুযায়ী নাম নিবন্ধন করতে হবে। কোনো জেলার নির্ধারিত কোটা পূরণ
হতে যে কয়দিন লাগবে, তত দিন নিবন্ধন চলবে। কোটা পূরণ হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে
ওই জেলার নিবন্ধন বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর নাম নিবন্ধনকারীদের
ফিরতি বার্তায় সাক্ষাৎকারের সময় ও স্থান জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিএমইটির মহাপরিচালক (ডিজি) বেগম শামসুন্নাহার বলেন, সরকারি চাকরির মতো
জেলা কোটার ভিত্তিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা। আদমশুমারির
গণনা অনুযায়ী যে জেলায় যত বেশি জনসংখ্যা সে জেলা থেকে ততবেশি লোক মালয়েশিয়া
যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
বিএমইটির ডিজি আরো বলেন, নিবন্ধনের পর প্রার্থীকে একটি ফিরতি বার্তা
পাঠানো হবে। তাতে বলা থাকবে কোন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) তার
সাক্ষাৎকার হবে। সাক্ষাতের এই পর্বেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দক্ষতার কাগজপত্র ও
অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাই এবং করা হবে। এরপর একটি ডেটাবেজ (তথ্যভাণ্ডার)
করা হবে। এতে নাম ওঠার পর তাদের পাসপোর্ট করবে শ্রমিকরা।
বিএমইটি সূত্রে জানা গেছে, এবার কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম)। এছাড়া প্রশিক্ষণ ছাড়া এবার কোনো
কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠাবে না সরকার। মালয়েশিয়া যা্ওয়ার জন্য নির্বাচিত হলে
তাকে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণে মালয়েশিয়ার ভাষা, খাবার, সংস্কৃতি, আইন সম্পর্কে কর্মীদের
ধারণা দেওয়া হবে। এবার মালয়েশিয়া যেতে একজন কর্মীর সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ৪০
হাজার টাকা। এর বাইরে প্রার্থীকে নিজ খরচে এমআরপি করতে হবে। দেশে ফেরার সময়
নিয়োগকর্তা তার বিমান ভাড়া দেবেন।
(ঢাকাটাইমস/ এইচএফ/ ১১.৫৫ঘ.)
No comments:
Post a Comment